ফরিদপুরে করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে আটার দামেও। মাত্র ৬ ঘণ্টার ব্যবধানে বস্তা প্রতি বেড়েছে প্রায় ১শ টাকা। সোমবার (২৩ মার্চ) দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিভিন্ন কোম্পানির আটার প্রতি বস্তা (৩৭ কেজি) দাম ছিল ৭৬০ টাকা। সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রতি বস্তা আটা বিক্রি হয়েছে ৮৫০ টাকা।
জানা যায়, ফরিদপুর জেলায় বিভিন্ন কোম্পানির আটার প্রতি বস্তা বিক্রি হচ্ছিল ৭৪০ টাকা থেকে ৭৬৫ টাকা পর্যন্ত। পরিবার আটা ৭৬০, ফ্রেস আটা ৭৬৫, ডলফিন আটা ৭৫০ টাকা সোমবার দুপুর পর্যন্ত বিক্রি করা হচ্ছিল। সন্ধ্যার পর থেকেই প্রতিটি কোম্পানির আটার বস্তার দাম ৮৫০ থেকে ৮৭০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে।
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার আটা ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, সোমবার দুপুর পর্যন্ত আটা আগের মূল্যে বিক্রি করেছি। বিকেলে যখন মিল থেকে আটা আনতে গিয়েছি তখন দাম পড়েছে ৮৫০ টাকা। আটার দাম আরও বাড়তে পারে বলে তিনি জানান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল সরকারি ছুটি ঘোষণা করায় অসাধু ব্যবসায়ীরা এ দাম বাড়িয়েছে। আমরা খুচরা ব্যবসায়ীরা কি করতে পারি?
এদিকে করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিকারী অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। অসাধু ব্যবসায়ীদের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জাগো নিউজকে জানান, অসাধু ব্যবসায়ীদের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৬৫টি মামলা করা হয়েছে। জরিমানা করা হয়েছে ৪ লাখ ৭০ হাজার দুইশ টাকা।