আজকের গল্প - একান্ত গোপনে
শিলিগুড়িতে কালই পৌছনাের খুব দরকার প্রিয়ব্রতর, ব্যবসা সংক্রান্ত একটা ব্যাপারে। কিন্তু এসপ্লানেডের দূরপাল্লার বাসগুমটিতে এসে যখন সে জানতে পারলাে শিলিগুড়িগামী শেষ রকেট বাসে একটা আসনও ফাঁকা নেই, আর শেষ রকেট বাস ছাড়তে তখন মাত্র পাঁচ মিনিট বাকী ছিল। প্রিয়ব্রত মাথায় হাত দিয়ে বসলাে, নির্ঘাত নতুন কন্ট্রাক্টটা হাতছাড়া হয়ে যাবে। এখন উপায়! ঠিক এই সময়ে যেন পরিত্রাতার ভূমিকায় এসে হাজির হলাে বছর চব্বিশ-পঁচিশের এক সুন্দরী যুবতী।
টিকিট রিটার্ন কাউন্টারের সামনে এসে মেয়েটি ব্যস্ত হয়ে বলে উঠলাে, দেখুন আমার নাম মণীষা মজুমদার, আমার স্বামী দীপক বিশেষ একটা জরুরী কাজে এখানে আটকে পড়ায় শিলিগুড়ি যেতে পারছেন না। তাই ওঁর টিকিটটা ফেরত নিতে হবে। ‘শেষ মুহূর্তে টিকিট ফেরত? বুকিং ক্লার্ক রমেন খাস্তগীর একটু ইতস্তত করলাে, হঠাৎ প্রিয়ব্রতর কথা মনে পড়তেই সে কাউন্টারের সামনে তাকালো। প্রিয়ব্রতকে দেখতে পেয়ে সে চিৎকার করে বলে উঠলাে, “মশাই, এই যে মশাই শুনছেন। একটু আগে আপনি না শিলিগুড়ির একটা টিকিট চাইছিলেন? যােগাড় হয়ে গেছে। ভাড়ার টাকাটা দিয়ে টিকিটটা নিয়ে যান।
টিকিটের নাম, শুনে প্রিয়ব্রত হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এলাে বটে কিন্তু টিকিটটা অন্য এক ভদ্রলােকের, ফেরত দেওয়া হচ্ছে, তবে তার স্ত্রী যাচ্ছে। প্রিয়ব্রতর আপত্তি এখানেই, বাসে মেয়েটি সারারাত তার পাশেই থাকবে। প্রবাদ আছে, ‘পথে নারী বর্জিতা!’ তাই কি করবে ভেবে পাচ্ছে না সে।
তাকে ইতস্তত করতে দেখে বুকিং ক্লার্ক এবার অস্বস্তি গলায় বলে উঠলাে, “ঠিক আছে, আপনি না নিলে অন্য ইচ্ছুক যাত্রীকে টিকিটটা দিয়ে দিচ্ছি। অন্যযাত্রী মানে বছর চল্লিশ বয়সের ষণ্ডমার্কা একটা লােককে দেখে মণীষা ঘাবড়ে যায়। সে এবার প্রিয়ব্রতর দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকালাে, আপনার তাে আজই শিলিগুড়ি যাওয়া খুবই জরুরী। তাহলে যাচ্ছেন না কেন? এখানে একটু থেমে মেয়েটি আবার বললাে, “ঠিক আছে, টিকিটের দাম বাসে উঠে দিলেও চলবে। এখন আমার সঙ্গে আসুন তাে। বাস এখনই ছেড়ে দেবে।
প্রিয়ব্রত আপত্তি করার আগেই মণীষা তার হাত ধরে একরকম জোর করেই তাকে টানতে টানতে বাসে নিয়ে গিয়ে তুললাে। টু-সিটেড আসন। মেয়েটি জানালার ধারে বসে প্রিয়ব্রতকে আহবান জানালাে বসুন!
“আপনার টিকিটের দামটা?
“আরে, পালিয়ে তাে যাচ্ছেন না, সামনে সারাটা রাত পড়ে রয়েছে, মণীষা হাসতে হাসতে প্রিয়ব্রতর হাত ধরে তাকে তার পাশে বসিয়ে দিলাে একরকম জোর করেই। মেয়েটির মধ্যে কি জাদু ছিল কে জানে, এবারেও সে কোনাে আপত্তি করতে পারলাে না।
কাটায় কাটায় ঠিক ন'টায় রকেট বাস ছেড়ে দিলাে।
আজকের Golpo "একান্ত গোপনে" গল্পের প্রধান চরিত্রে প্রিয়ব্রত ও মণীষা, গল্পের বিষয় - Bengali hot story আরও Bangla love story এবং Bangla jokes অথবা Bengali Shayari পড়ার জন্য আমাদের ব্লগ টিকে সাবস্ক্রাইব করে আমাদের সাথে থাকুন, গল্পটি পড়িয়া যদি আপনার ভালো লাগিয়া থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট এবং শেয়ার করিতে ভুলিবেন না।
Bengali hot story with photo
Bangla Hot Story With Photo - বাংলা বড়দের গল্প
আজকের গল্প - একান্ত গোপনে
শিলিগুড়িতে কালই পৌছনাের খুব দরকার প্রিয়ব্রতর, ব্যবসা সংক্রান্ত একটা ব্যাপারে। কিন্তু এসপ্লানেডের দূরপাল্লার বাসগুমটিতে এসে যখন সে জানতে পারলাে শিলিগুড়িগামী শেষ রকেট বাসে একটা আসনও ফাঁকা নেই, আর শেষ রকেট বাস ছাড়তে তখন মাত্র পাঁচ মিনিট বাকী ছিল। প্রিয়ব্রত মাথায় হাত দিয়ে বসলাে, নির্ঘাত নতুন কন্ট্রাক্টটা হাতছাড়া হয়ে যাবে। এখন উপায়! ঠিক এই সময়ে যেন পরিত্রাতার ভূমিকায় এসে হাজির হলাে বছর চব্বিশ-পঁচিশের এক সুন্দরী যুবতী।
টিকিট রিটার্ন কাউন্টারের সামনে এসে মেয়েটি ব্যস্ত হয়ে বলে উঠলাে, দেখুন আমার নাম মণীষা মজুমদার, আমার স্বামী দীপক বিশেষ একটা জরুরী কাজে এখানে আটকে পড়ায় শিলিগুড়ি যেতে পারছেন না। তাই ওঁর টিকিটটা ফেরত নিতে হবে। ‘শেষ মুহূর্তে টিকিট ফেরত? বুকিং ক্লার্ক রমেন খাস্তগীর একটু ইতস্তত করলাে, হঠাৎ প্রিয়ব্রতর কথা মনে পড়তেই সে কাউন্টারের সামনে তাকালো। প্রিয়ব্রতকে দেখতে পেয়ে সে চিৎকার করে বলে উঠলাে, “মশাই, এই যে মশাই শুনছেন। একটু আগে আপনি না শিলিগুড়ির একটা টিকিট চাইছিলেন? যােগাড় হয়ে গেছে। ভাড়ার টাকাটা দিয়ে টিকিটটা নিয়ে যান।
টিকিটের নাম, শুনে প্রিয়ব্রত হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এলাে বটে কিন্তু টিকিটটা অন্য এক ভদ্রলােকের, ফেরত দেওয়া হচ্ছে, তবে তার স্ত্রী যাচ্ছে। প্রিয়ব্রতর আপত্তি এখানেই, বাসে মেয়েটি সারারাত তার পাশেই থাকবে। প্রবাদ আছে, ‘পথে নারী বর্জিতা!’ তাই কি করবে ভেবে পাচ্ছে না সে।
তাকে ইতস্তত করতে দেখে বুকিং ক্লার্ক এবার অস্বস্তি গলায় বলে উঠলাে, “ঠিক আছে, আপনি না নিলে অন্য ইচ্ছুক যাত্রীকে টিকিটটা দিয়ে দিচ্ছি। অন্যযাত্রী মানে বছর চল্লিশ বয়সের ষণ্ডমার্কা একটা লােককে দেখে মণীষা ঘাবড়ে যায়। সে এবার প্রিয়ব্রতর দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকালাে, আপনার তাে আজই শিলিগুড়ি যাওয়া খুবই জরুরী। তাহলে যাচ্ছেন না কেন? এখানে একটু থেমে মেয়েটি আবার বললাে, “ঠিক আছে, টিকিটের দাম বাসে উঠে দিলেও চলবে। এখন আমার সঙ্গে আসুন তাে। বাস এখনই ছেড়ে দেবে।
প্রিয়ব্রত আপত্তি করার আগেই মণীষা তার হাত ধরে একরকম জোর করেই তাকে টানতে টানতে বাসে নিয়ে গিয়ে তুললাে। টু-সিটেড আসন। মেয়েটি জানালার ধারে বসে প্রিয়ব্রতকে আহবান জানালাে বসুন!
“আপনার টিকিটের দামটা?
“আরে, পালিয়ে তাে যাচ্ছেন না, সামনে সারাটা রাত পড়ে রয়েছে, মণীষা হাসতে হাসতে প্রিয়ব্রতর হাত ধরে তাকে তার পাশে বসিয়ে দিলাে একরকম জোর করেই। মেয়েটির মধ্যে কি জাদু ছিল কে জানে, এবারেও সে কোনাে আপত্তি করতে পারলাে না।
কাটায় কাটায় ঠিক ন'টায় রকেট বাস ছেড়ে দিলাে।
রাত ন'টা শীতের রাত, রাস্তা প্রায় ফাকা। রকেট বাস, রকেটের মতাে দ্রুত গতিতে ছুটে চললাে তার গন্তব্যস্থলের দিকে। ফাকা বি টি রােডে আসতেই বাসের গতি দ্বিগুণ হয়ে গেলাে। ডানলপ ব্রীজের সামনে হঠাৎ ট্রাফিকের আলােটা লাল হয়ে উঠতেই বাসের চালক দ্রুত ব্রেক কষতেই যাত্রীরা হুড়মুড়িয়ে এ ওর ঘাড়ে লুটিয়ে পড়লাে।
এদিকে প্রিয়ব্রত ও মণীষার অবস্থা তথৈবচ। দু'হাত দিয়ে প্রিয়ব্রতর গলা জড়িয়ে ধরে থরথর করে কাঁপছে মণীষা। তার বুকের কাপন তখন আছড়ে পড়ছে প্রিয়ব্রতর বুকে। ওরা কতক্ষণ যে ওভাবে জড়িয়ে বসেছিল কেউ তা জানে না।
পিছনের আসন থেকে এক ছােকরা টিপ্পনী কাটল, কি দাদা, খুব লেগেছে?
এমন একটা নােংরা মন্তব্যের উত্তর দিতে ইচ্ছে হলাে না প্রিয়ব্রতর। তার বদলে অস্ফুটে মণীষার উদ্দেশ্যে বলে উঠলাে, আরে ছাড়ুন এবার। বাসের যাত্রীরা যে দেখছে...। দেখুকগে! মণীষা আরও নিবিড় করে প্রিয়ব্রতকে জড়িয়ে ধরে কপট অভিমান করে বললাে, বাসের ঝাকুনিতে আমার লাগলাে, আর ওরা রঙ্গ-রসিকতা করছে? না ওদের কথায় কান দেবেন না।
আঘাত পেয়েছে শুনে প্রিয়ব্রতর কেমন যেন একটু মায়া হলাে মেয়েটির ওপর। তাই সে মণীষার মুখের ওপর ঝুঁকে পড়ে ফিসফিসিয়ে জিজ্ঞেস করলাে, কোথায় লেগেছে?
এইখানে, এই বলে প্রিয়ব্রতর ডানহাতটা ধরে নিজের বুকজোড়ার মাঝখানে চেপে ধরলাে মণীষা, ছাড়তে চাইল না।
প্রিয়ব্রত ঘাবড়ে গেলাে। বাস তখন রকেটের গতিতে আবার ছুটতে শুরু করেছিল। ওদিকে বাসের যাত্রীরা আবার আগের মতাে ঘুমের কোলে ঢলে পড়েছিল তখন। প্রিয়ব্রত হাঁফ ছেড়ে বাঁচল। ওরা এমন রসালাে দৃশ্য দেখলে আর রক্ষে ছিল না। রাতের জার্নি বলে বাসে মাত্র দুটি আলাে জ্বলছিল, একটা গেটের মুখে, আর একটা ঠিক ওদের আসনের পেছনে। কম পাওয়ারের আলাে হলেও মেয়েটির মুখটা বেশ স্পষ্টই দেখা যাচ্ছিল। অন্য আসনগুলাে প্রায় অস্পষ্ট আলােয় ডুবেছিল, তাতে একটা বাড়তি সুবিধে হলাে এই যে, দূর থেকে ওদের গতিবিধি অন্য যাত্রীদের চোখেই পড়ছে না।
তবু সাবধানের মার নেই, প্রিয়ব্রত তার হাতটা মেয়েটির বুকের ওপর থেকে তুলে নিতে গেলে মণীষা এবার আরাে জোরে চেপে ধরলাে ওর পাখীর মতাে নরম বুকের ওপরে অনুভবে বুঝলাে প্রিয়ব্রত অজান্তে তখন সে মণীষার বুকে হাত দিয়ে ফেলেছে। ব্ৰাহীন বুক। মেয়েটির স্বাস্থ্য ভীষণ ভালাে। তার ওপর বিশাল বুকের চাপে মনে হচ্ছিল ব্লাউজ না ফেটে যায়। সামনের দিকে বােতাম ব্লাউজের। ওপরের দুটি বােতাম খুলে গেছে, বুকের উপরের অনেকখানি উন্মুক্ত, আলােয় উদ্ভাসিত। সংকোচ হচ্ছিল, তাই প্রিয়ব্রত বােতাম দুটো লাগাবার চেষ্টা করতেই মণীষা তার হাত চেপে ধরে অস্ফুটে বলে উঠলাে, থাক না, আমার ও দুটো দেখতে কি তােমার খুব খারাপ লাগছে? এই দেখাে আমি তােমাকে তুমি বলে ফেললাম।
“ঠিক আছে, ও কিছু নয়।
‘না ঠিক নেই। তুমিও তাহলে আমাকে তুমি করে ডাকবে বলাে?”
মণীষা তার মনের কথাটাই বলেছিল। সেও যেন কেমন একটু একটু করে মেয়েটির প্রতি আসক্ত হয়ে উঠছিল। তাই সে আর আপত্তি করলাে না, বললাে “ঠিক আছে, তাই বলবাে। এই বলে প্রিয়ব্রত অবিন্যস্ত শালটা একহাতে তার বুকের ওপর গুছিয়ে বিছিয়ে দিলাে। ওপর হাতটা মেয়েটির বুকের ওপরেই তেমনি রাখা ছিল। এর ফলে বাসের অন্য যাত্রীরা জেগে উঠে তাদের দিকে তাকালেও তার হাতের কাজকর্ম তারা আর দেখতে পাবে না, এই ভাবে আশ্বস্ত হলাে সে। তার গতিবিধি দেখে মেয়েটি হাসলাে, স্থির চোখে তাকালাে প্রিয়ব্রতর দিকে। তুমি তাহলে এতক্ষণে সাবালক হলে?
“কি করে বুঝলে।
‘শালটা দিয়ে আমার বুক ঢেকে দিলে কেন?’ মণীষা কপট গম্ভীর মুখে বললাে, ‘একবার আমার অনুমতি নেবার প্রয়ােজন মনে করলে না?
প্রিয়ব্রত তার ব্লাউজের অবশিষ্ট বােতামগুলাে খুলতে খুলতে তেমনি রহস্য করে বললাে, এর পরেও কি তােমার অনুমতি নিতে হবে?
‘না গাে না’, মণীষা ঠোট ফোলালাে, তুমি কি ঠাট্টাও বােঝাে না?
এতে প্রিয়ব্রতর সাহস আরও বেড়ে গেলাে। ততক্ষণে ব্লাউজের সব বােতামগুলাে তার খােলা হয়ে গেছলাে। বুক পুরুষ্ট, সুগঠিত এবং সুডৌল। প্রিয়ব্রত ভালাে করে বুক দুটি তার হাতের মুঠোয় চেপে ধরে মৃদু চাপ দিতে শুরু করলাে। মণীষা হাত সরিয়ে দিলাে না।
বরং আবেগকম্পিত গলায় ফিসফিসিয়ে বললাে, আরও আরও জোরে, খুব ভাল লাগছে।” এই বলে মণীষা হঠাৎ একটা অদ্ভুত কাজ করে বসলাে, প্রিয়ব্রতর মাথাটা নিচে নামিয়ে এনে তার ঠোঁটজোড়া নিজের তপ্ত ওষ্ঠ দ্বয়ের কাছে নিয়ে এলাে। চুম্বনের জন্য মুখ তুললাে মণীষা। প্রিয়ব্রত তার মনের কথা জেনে গেছে ততক্ষণে। তাই সে তার শালটা নিজের মাথার ওপর টেনে বাকী অংশটুকু মণীষার শরীরের ওপরের অংশটুকু ঢেকে দিলাে। এখন প্রকাশ পাওয়ার মতাে ওদের শরীরের কোনাে অংশই খােলা পড়ে রইলাে না। নিশির ডাকে সম্মােহিত নারীর মতাে দেখাচ্ছিল মণীষাকে। মৃদু হাসলাে প্রিয়ব্রত, হঠাৎ আকাঙ্খিত কিছু পেয়ে যাওয়ার হাসি যেন।
এখানে এই চলন্ত বাসের মধ্যে যাত্রীরা সবই যেখানে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন, ঘটনার এমন উৎসাহব্যঞ্জক পরিবেশে হঠাৎ কেমন যেন মণীষাকে ভাল লেগে গেল প্রিয়ব্রতর মণীষাকে সে আরও নিবিড় করে জড়িয়ে ধরলাে। হাতের স্পর্শে সংবহনের আরাম দিতে চাইলাে মণীষাকে। অকপট হাসিতে প্রিয়ব্রত যেন ওকে অবশ করতে চাইছে। মণীষা চুম্বনের জন্যে মুখ তুলতেই প্রিয়ব্রত ওকে ওর সেই ছােট্ট আসনে শুইয়ে ওর কোমর জড়িয়ে ধরলাে সজোরে, পােশাকের ওপর থেকেই চাপ দিলাে মণীষার তলপেটে, আর সেই অবস্থাতেই আলাে আঁধারির ছায়াঘন অবস্থায় দুটি ছায়ামূর্তি চুম্বিত হয়ে রইল।
মণীষার মনে হলাে, এই তার স্বামী। ওদিকে প্রিয়ব্রত হয়তাে কল্পনা করলাে তার বিবাহিত স্ত্রী অনুসূয়াকে, এই মুহূর্তে যাকে সে চাইছে কিন্তু পাচ্ছে না । আর এভাবেই দুটি দেহে দুটি অন্য মন তরঙ্গায়িত হলাে। বাসের সেই স্বল্পালােকে প্রিয়ব্রত মণীষার মুখের দিকে তাকিয়ে বললাে, ও এখন ওর তপ্ত ঠোটে চুম্বনের প্রত্যাশী।
প্রিয়ব্রত বাসের সেই স্বল্প পরিসরে ঠেস দিয়ে নিজের শরীরের নিচে মণীষাকে শােয়ালাে, তার দেহের ওপর নিজের দেহটাকে কোনােরকমে বিছিয়ে দিয়ে তার কোমর জড়িয়ে ধরলাে সজোরে, শাড়িতে আবৃত মণীষার জঙঘায় এবং তলপেটে চাপ দিতে থাকলাে, আর সেই অবস্থাতেই সেই আলাে আঁধারিতে দুটি ছায়ামূর্তি চুম্বিত হয়ে রইলাে, চুম্বন যতক্ষণ না বিস্বাদ ঠেকলাে ততক্ষণ পর্যন্ত কেউ কারাের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চাইলাে না। মণীষার মনে হলাে, এই তার স্বামী বিজন, যাকে সে শরীরী সম্পর্কে পেতে চায় কিন্তু পায় না কোনাে এক কারণে। দুটি দেহে দুটি অন্য মন তরঙ্গায়িত হতে থাকলে তাদের এতদিনের না পাওয়া আকাঙক্ষা হঠাৎ ক্ষণিকের এই প্রাপ্তিযােগ তারা এখন ভরিয়ে নিতে চাইলাে কানায় কানায়।
কিন্তু তারা এও জানে যে, এই চলন্ত বাসের মধ্যে তাদের সব আকাঙ্খার পূর্ণতাপ্রাপ্তি ঘটতে পারে না, সম্ভবও নয়। তবে যেটুকু পাওয়া যায় তাই যথেষ্ট, আর যা না পাবে পথের কামনা বাসনা সব পথেই ফেলে রেখে যেতে হবে। অনেকক্ষণ পরে মণীষার চোখে-মুখে একটা সুখ-তৃপ্তির ভাবফুটে উঠতে দেখা গেলাে। এবং প্রিয়ব্রতরও। প্রিয়ব্রতই প্রথমে মণীষার কমলালেবুর কোয়ার মতাে রসসিক্ত ওষ্ঠ দ্বয় থেকে নিজের ঠোটজোড়া বিচ্ছিন্ন করে শান্ত স্নিগ্ধ গলায় মিষ্টি সুরে বললাে, ‘এবার ছাড়।
‘আর একটু প্লিজ’, মণীষা এবার নিজের থেকে সক্রিয় হয়ে দু'হাতে প্রিয়ব্রতর গলা জড়িয়ে ধরে তার ঠোটজোড়া নিজের ওষ্ঠ দ্বয়ের মধ্যে পুরে চোষণে ব্রত হলাে। চোষণ অতি দ্রুত হলাে এবার, যেন চুম্বনে রসনার শেষ ফোটা সে চুষে নিতে চাইছে প্রিয়ব্রতর ওষ্ঠ দ্বয় থেকে। তারপর তখনকার মতাে একেবারে নিঃশেষ হয়ে যেতেই সে বিচ্ছিন্ন হলাে প্রিয়ব্রতর থেকে।
“কেমন লাগলাে?’ প্রিয়ব্রতর দিকে লােলুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে হাসি হাসি মুখে মণীষা জিজ্ঞেস করলাে।
তােমার রসালাে ঠোট, নাকি চুম্বন!’
‘দুটোই। এই বলে হাসলাে প্রিয়ব্রত। কপট অনুযােগ করে আবার বললাে, তবে মন ভরলেও দেহ কিন্তু অপূর্ণই রয়ে গেলাে।
এখন এ পর্যন্তই থাক, পথ চলা এখনও শেষ হয়নি দীর্ঘ পথ এখনও বাকী রয়েছে। মাঝেমধ্যে সুযােগ পেলে টুকটাক প্রাপ্তিযােগ ঘটলেও ঘটতে পারে, তার বেশি কিছু নয়। যেমন এই মুহূর্তে আমি তােমাকে তােমাদের অতি প্রিয় জিনিসটা খাওয়াতে পারি। ‘সেটা কি, থামলে কেন?' প্রিয়ব্রত অধীর হয়ে বললাে, “বলাে কি সেটা? আমি কি সেটা চোখে দেখতে পারি?
“না অনুভবে বুঝে নিতে হবে,' মণীষা রহস্য করে বলে তার শালের নিচে প্রিয়ব্রতর মাথাটা আড়াল করে চেপে ধরলাে নিজের বুকের ওপর। ব্লাউজের বােতাম খােলা মণীষার বুক। শালের আড়াল হলেও মণীষার লক্ষ্য কিন্তু স্থির ছিল, প্রিয়ব্রতর মুখটা সে তার আকাঙ্খিত একটা বুকের ওপর চেপে ধরলাে।
হ্যা, মণীষার খুবই প্রিয়। চোষণে দারুণ মজা।
এই অভ্যাসটা পুরুষরা তাদের জন্মলগ্ন থেকে শেখে তাদের মায়েদের কাছ থেকে। মণীষার বুকে দুধ নেই, তাতে কি হয়েছে? বাড়িতে তার র-চা খাওয়ার অভ্যাস আছে, র-চায়ে চায়ের ফ্লেভারটা ভাল পাওয়া যায়। সেই রকম বুকেও বেশ মাদী মাদী গন্ধ থাকে, হাত দিতে ভাল লাগে, শুকতে ভালাে লাগে আর চুষতে সে তাে স্বর্গসুখ লাভের মতাে। প্রিয়ব্রত আর অপেক্ষা করতে পারছিল না, পালা করে মণীষার দুটি বুক বেশ আয়েস করে চুষতে শুরু করলাে। স্ফুরিতক চুম্বনে ও চোষণে রক্তবর্ণ হলাে ওষ্ঠদ্বয়, মণীষা বুক আরও চেপে ধরলাে প্রিয়ব্রতর মুখে, চোষণে বৃষ্টি পড়া। কদমের মতাে কণ্টকিত হলাে বুকযুগল।
‘আঃ, কি চমৎকার তােমার বুকজোড়া। একবার বিচ্ছিন্ন হয়ে প্রিয়ব্রত বলে উঠলাে। ‘ভাল লাগছে?' মণীষা জিজ্ঞেস করলাে।
“দারুণ!’
‘কলেজে ইকোনােমিক্সে পড়েছিলাম ‘ল অব ডিমিনিশিং-এর কথা। ভালাে জিনিষ বেশি খেলেই তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যায়। আর নয়, ওঠো এখন, উঃ তােমার শরীরটা কি ভারি!
এই সময় পিছনের আসনের এক যাত্রীর ঘুম ভেঙে গেলাে। তার আড়মােড়া ভাঙার শব্দ হতেই মণীষা প্রিয়ব্রতকে ঠেলা দিলাে, ‘এই ওঠো, কেউ বােধহয় জেগে উঠেছে। প্রিয়ব্রত দ্রুত মণীষার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে উঠে বসলাে। ‘স্যরি!’ মণীষা মুখ টিপে হাসলাে। “দুঃখ করাে না প্রিয়, পরে আমি তােমাকে সুদে আসলে পুষিয়ে দেবাে।
‘প্রমিস?
প্রিয়ব্রতর হাতে মৃদু চাপ দিয়ে মণীষা বললাে, “হ্যা, শপথ নিলাম!” মাঝরাতে বাস এসে থামলাে মালদায়। অনেকক্ষণ থামবে এখানে।
“কিছু খাবে?’ প্রিয়ব্রত জিজ্ঞেস করলাে।
‘যা খাইয়েছ, এরপর অন্য আর কিছু খাওয়ার ইচ্ছে নেই’, রহস্যময় হাসি হেসে মণীষা বললাে, এত সব খাওয়ার পরেও তােমার খিদে পেয়েছে। ‘তেমন করে খেতে দিলে কই?’ প্রিয়ব্রতও কপট অনুযােগ করতে ছাড়লাে না। “সে তােমার দুর্ভাগ্য’, পিছনের আসনের দিকে তাকিয়ে অর্থপূর্ণ হাসি হাসলাে মণীষা। মণীষা কি বলতে চাইছে তা বুঝতে অসুবিধে হলাে না প্রিয়ব্রতর। “বেশ, অন্তত এক কাপ কফি?
‘তা মন্দ হয় না, যা শীত পড়েছে, শরীরটা একটু গরম না করে নিলে নয়!
“সে কি তুমি গরম হওনি?’ মণীষার একটু আগের রসিকতার বদলা হিসেবে বললাে, ‘এত গরম খাওয়ার পরেও ‘এ গরম সে গরম নয়। মণীষাও রসিকতা করতে ছাড়লাে না। তাছাড়া কি এমন গরম করতে পারলে তুমি?
‘সুযােগ পেলে দেখাে তােমার মধ্যে কেমন আমি আগুন জ্বালিয়ে দিই। হাসতে হাসতে বললাে প্রিয়ব্রত।
তার আগে আমিই তােমার মধ্যে আগুন ছড়িয়ে দেবাে।
না তুমি তা পারবে না, প্রিয়ব্রত এবার একটা মােক্ষম রসিকতা করলাে, “দেশলাই কাঠিটা কেবল আমার কাছেই আছে, তােমার কাছে নয়!
‘দুষ্টু কোথাকার’, মণীষা কপট ধমক দিয়ে প্রিয়ব্রতর প্যান্টের ওপর মৃদু চাপ দিয়ে বললাে, এই দেশলাইকাঠির জন্য এতাে দেমাক তােমার?
‘হ্যা অবশ্যই! আর একটা কাঠিই যথেষ্ট, তােমার সারা অঙ্গে আগুন জ্বালিয়ে দিতে পারে আমার এই দেশলাইকাঠিটা। তা জ্বালবাে নাকি?
‘না, না, দোহাই তােমার’, মণীষা তাকে থামিয়ে দিয়ে অনুরােধ করলাে, লক্ষ্মীটি, এখানে লঙ্কাকাণ্ড বাধিয়ে বসাে না, শিলিগুড়িতে চলাে, সেখানে তুমি যত খুশি আগুন জ্বালাও, আমার দেহ পুড়িয়ে ছাই করে দাও না কেন আমি কোনাে ভাবেই আপত্তি করবাে না।
‘কথা দিচ্ছ?
‘কেন, একটু আগেই তাে আমি তােমাকে কথা দিয়েছি। মণীষা বললাে।
‘ঠিক আছে, আমি তাহলে কফি আনতে চললাম,
‘হ্যা, তাই যাও।
কফির পেয়ালায় চুমুক দিয়ে প্রিয়ব্রত এই প্রথম মণীষার পারিবারিক প্রসঙ্গে আলােচনা শুরু করতে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাে, “তােমার বাড়িতে কে কে আছেন?
‘স্বামী আর দত্তক নেওয়া একটি ছেলে।
‘দত্তক নেওয়া ছেলে?’ প্রিয়ব্রত একটু অবাক হয়েই জিজ্ঞেস করলাে, “কেন, তােমাদের বিবাহিত জীবনের কোনাে ফসল তুলতে পারােনি?
‘অনেক দুঃখের সঙ্গে বলছি, আমার স্বামী ইমপােটেন্ট, বাবা হওয়ার অযােগ্য। “তাই বুঝি? প্রিয়ব্রত দুঃখ প্রকাশ করলাে, ‘আমি দুঃখিত।
“না, না এতে দুঃখ পাওয়ার কি আছে?' বিষগ্ন গলায় মণীষা বললাে, “এ আমার দুর্ভাগ্য। আর তাই তাে তােমার মতাে একজন ভাল বন্ধু পেয়ে আমি লােভ সামলাতে পারিনি। আমার কথা থাক, এখন তােমার কথা বলাে। তােমার বিবাহিত জীবন কি রকম বলাে।
স্ত্রীও একটি বছর তিনেকের ছেলে নিয়ে আমার সংসার বেশ সুখেই কাটছিল, কিন্তু ভগবান বােধহয় সব সুখ একসঙ্গে দেন না। তা না হলে আমার স্ত্রী হঠাৎ পক্ষাঘাতে পঙ্গু হয়ে পড়বে কেন বলনা? প্রায় এক বছর হলাে, স্ত্রীর সঙ্গে আমার শারীরিক কোনাে সংযােগ নেই। আর তাই বােধহয় আজ হঠাৎ তােমার এমন মধুর সঙ্গ পেয়ে আমি একটু বেহিসেবিপনা করে ফেলেছি।
‘না, না এটাইতাে প্রকৃতির ধর্ম, নারী পুরুষ একত্রিত হলে এমনি হয়। তুমি এমন কিছু বেহিসেবিপনা করােনি। আমার বিশ্বাস, শিলিগুড়িতে গিয়ে আমি অতৃপ্ত জীবনে আরও বেশি করে তৃপ্তি আনতে পারবাে। স্বামী নেই, ওখানে গিয়ে তুমি আমার বাড়িতেই উঠবে। আমার ছেলে বেলা এগারােটায় ফিরে আসে, আশা করি তার আগেই তােমাকে পরিপূর্ণ তৃপ্তি দিয়ে ফেরাতে পারবাে
সকাল হতেই রকেট বাস এসে পৌঁছলাে শিলিগুড়িতে। কালবিলম্ব না করে বাস স্ট্যান্ড থেকে প্রিয়ব্রতকে সঙ্গে নিয়ে মণীষা সােজা তাদের হিলকার্ট রােডের বাড়িতে। ফিরে এলাে। তখন বেলা প্রায় নটা বাড়ি ফাকা। ছেলেকে স্কুলে নিয়ে গেছে কাজের মেয়ে শান্তি, তাকে একবারে নিয়েই ফিরবে এগারােটার পর। এই দু'ঘণ্টা, ন'টা থেকে এগারােটা তাদের মিলনের স্বর্গরাজ্য বলে মনে করলাে মণীষা।
এত বড় বাড়িতে তারা দু’ জন এখন। টয়লেট থেকে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নিলাে তারা। টয়লেট থেকে বেরিয়ে এসে মৃদু হাসলাে প্রিয়ব্রত, বিজয়ীর হাসি। আর এখানে এই নির্জন বাড়ির মধ্যে হঠাৎ কেমন যেন ভালাে লেগে গেলাে মণীষার প্রিয়ব্রতকে। ওর কাছে গিয়ে ওর খােলা প্রশস্ত বুকে হাত রাখলাে, কাধের পেশীতে হাত বােলালাে, তারপর গলা জড়িয়ে ধরলাে। বাহাতের স্পর্শে সংবাহনের আরাম দিতে চাইলাে প্রিয়ব্রতকে।
প্রিয়ব্রত হাসছে। কপট হাসিতে প্রিয়ব্রত যেন ওকে অবশ করে দিতে চাইছে। মণীষা ভাবছে, এই সময় হঠাৎ যদি ওর স্বামী এসে হাজির হয় ওদের এভাবে মিলিত হতে দেখে দেখুক। একটা ক্লীবকে ও আর ভয় পাবে না, ও এখন ওর মনের মানুষের সন্ধান পেয়ে গেছে। প্রিয়ব্রতকে কথা দিয়েছে ও। কথা রাখতে উদ্যোগী হলাে মণীষা। যেন ওর পুরুষ কৌমার্য হরণ করছে এমনভাবে প্রিয়ব্রতকে সজোরে নিজের দিকে অকর্ষণ করলাে মণীষা, ওকে ঘর্ষণ করলাে নিজের দেহে, তারপর প্রিয়ব্রতর পরনের পােশাক টেনে খুললাে, হাত দিয়ে অনুভব করলাে ওর উদ্যতা রিরংসার ফলা, ছাড়লাে না মুঠোয় ধরে রইলাে।
প্রিয়ব্রত অস্ফুটে বলে উঠলাে, “কি সুন্দর বুক তােমার মণীষা!” আর তােমার এই সােনারকাঠিটাও কম সুন্দর নয় প্রিয়ব্রত, দৈর্ঘ্যে-প্রস্থে আমার স্বামীরটার থেকে দ্বিগুণ, যেকোনাে মেয়ের কাছে এটা লােভনীয়।
প্রিয়ব্রতর সারা শরীর টান-টান হয়ে উঠেছে। সত্যিকার পুরুষমানুষ। উপযুক্ত শৃঙ্গার আবিষ্কার করতে চায় প্রিয়ব্রত। টের পেয়েছে মণীষার তৃপ্তি-সাধন খুব সহজ নয়। তাই শৃঙ্গারে ওকে অবশ না করলে শুধু সােনারকাঠির স্পর্শে ওর রাগমােচন হবে না। ওর দেহ বেয়ে খানিকটা নামলাে প্রিয়ব্রত মণীষার বুকের অগ্রভাগে মণ্ডলীকার কালাে দাগযুক্ত জায়গায় মুখ রাখলাে, লেহন করলাে বুক, উৎফুল্ল বুকের খানিকটা মাংস দুই পাটির সবগুলাে দাঁত দিয়ে বৃত্তাকারে গ্রহণ করে মৃদু চাপ দিলাে।
এক বুক থেকে প্রিয়ব্রতর মাথাটা তুলে আর এক বুকে আনলাে মণীষা এবং বললাে, এটাকেও একুট দেখাে! মণীষার নিঃশ্বাসে হাল্কা, নাকের পাটা ফুলছে, কথা জড়িয়ে আসছে, কোমল নীচের অংশ আদ্র হচ্ছে। মণীষার নাভিমূলে হাত বুলােলাে প্রিয়ব্রত। একটু একটু করে আরও নিচে উরুসন্ধিতে উত্তাপ অনুভব করলাে, হাতের স্পর্শে দুই উরু প্রসারিত করলাে মণীষা।
আবেগকম্পিত গলায় বললাে, আর পারছিনে। নিতম্ব ওপর দিকে বার বার ঠেলে তুলতে মণীষা ওর ত্রিভুজে বিদ্ধ করাতে চাইছে প্রিয়ব্রতর সােনার কাঠি, দু'হাতে ওর পুরুষকঠিন পশ্চাদভাগ টেনে আনছে নিজের কাকালের দিকে। প্রিয়ব্রত বেশ বুঝতে পারছে মণীষার চোখ মুখ উগ্র সঙ্গমেচ্ছায় বিস্তারিত, স্নায়ুমণ্ডলী উত্তেজিত। উত্তুঙ্গ উত্তেজনার মুহূর্তে দু’হাত মণীষার কোমর জড়িয়ে ধরেচাপ দিয়ে ওকে ওপরের দিকে টানলাে প্রিয়ব্রত, যুক্ত হলাে দেহে দেহে প্রবিষ্ট হলাে মণীষার মধ্যে। মণীষা অধীর আনন্দে বলে উঠলাে, ‘আ’!
কি সুন্দর তােমার ত্রিভুজ মণীষা।
ভাল লাগছে? আরও জোরে...।
কিন্তু প্রিয়ব্রত তাড়াহুড়াে করছে না, দেহে দেহে দীর্ঘস্থায়ী হবে বলে নিস্ক্রিয় প্রিয়ব্রত আবেশে চোখ বুজে উপভােগ করছে। ওদিকে মণীষা আর স্থির থাকতে পারছে না। কেমন নির্লজ্জের মতাে বললাে, “ওঃ আর একটু, আর একটু...'
এবার সক্রিয় হলাে প্রিয়ব্রত এবং অল্পক্ষণের মধ্যেই ওর উত্তাপে জারকরস বিন্দু বিন্দু হয়ে ঝরে পড়তে থাকলাে মণীষার দেহের অভ্যন্তরে। দুজনেরই এক সঙ্গে রাগমােচন হলাে। আর অবসন্ন দুটি দেহে ওই অবস্থায় পড়ে রইলাে আরও কিছুক্ষণ। মণীষার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে টয়লেট গিয়ে ঢুকলাে প্রিয়ব্রত, মণীষাও অনুসরণ করলাে ওকে। এ ওর মিলনজনিত সমস্ত ক্লেদ, ময়লা ধুয়ে মুছে সাফ করে দিলাে। টয়লেট থেকে বেরিয়ে এসে প্রিয়ব্রত ঘড়ির দিকে তাকালাে, সাড়ে দশটা। বললাে, ‘তােমার ছেলের ফেরার সময় হয়ে এলাে, এবার যাই।
‘আবার কবে দেখা হবে?’ মণীষার চোখে আকুতির ছায়া পড়ে।
‘আবার দেখা কেন, এই তাে ভালাে, মৃদু হেসে প্রিয়ব্রত বললাে, পথের দেখা পথেই তো শেষ হলে ভালাে হয়, তাই না।
মণীষা ফ্যালফ্যাল করে প্রিয়ব্রতর গমন পথের দিকে তাকিয়ে রইলাে। কি উত্তর দেবে ও? এই মুহূর্তে ওর সারা দেহ-মনে প্রিয়ব্রতর সুখ-স্মৃতি জড়িয়ে আছে, অন্য কথা ভেবে সেটা ও মুছে দিতে চাইলাে না।