দ্বীনের বুঝ আসার পর বুঝি, এসব গুণ না দিয়ে হয়তো আল্লাহ্ আমাকে বহু পাপ থেকে বাঁচিয়েছেন। যে বন্ধু বান্ধবি খুব ভালো গান করে তার পক্ষে আল্লাহ্র জন্য মিউজিক ছুঁড়ে ফেলা বড় কষ্টকর। যে ভালো ছবি আঁকে তার গুণটি হয়তো কিয়ামতের দিন তার জন্য বিপর্যয়ের কারণ হবে। খুব ভালো গণিত পারা ছেলেটিকে দেখেছি দিনরাত গণিত নিয়ে পড়ে থেকে স্রষ্টাকেই ভুলে যেতে। যে গুণ, যে প্রতিভা আল্লাহর অবাধ্য হতে সাহায্য করে বিচার দিবসে তার ভার কি আমি বইতে পারতাম? কতই না ভাগ্যবান আমি। . অকৃতজ্ঞতা মানুষের স্বভাব। আল্লাহ্ কত মানুষকে কতকিছু না দিয়ে হিফাযত করেন, মানুষ বোঝেনা। সন্তুষ্ট হতে পারেনা।
যে মেয়েটি কালো সে সুন্দরী মেয়েটিকে দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। অথচ আল্লাহ্ তাকে ফর্সা করে বানালে দেখনদারিতার ব্যাধি হয়তো তাকে পেয়ে বসত। সুন্দরীরাই বেশি সোৎসাহে ফেসবুকে ফটো আপলোড করে। কালো মেয়েটি করেনা, তাকে সাময়িক বাহ্যিক রূপটি না দিয়ে কত গুনাহ থেকে আল্লাহ্ বাঁচিয়েছেন সে কি বুঝতে পারে? . আমি ধনী নই, এ নিয়ে যেন আমি দুঃখিত না হই। সম্পদের হিসাব দেওয়া কত কঠিন, ভাবতে পারি? আমি দরিদ্র নই, এর জন্য যেন কৃতজ্ঞতা থাকে আল্লাহ্র দরবারে। আমাকে আল্লাহ্ যেভাবে বানিয়েছেন, যেভাবে রেখেছেন তার অন্যথা হলে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হতাম, এই বুঝটা মানুষের আসে না।
জাহান্নামের আগুন নেভাতে পারে এমন কোন রাসায়নিক বিশ্বজগতে নেই। আল্লাহ্-র ভয়ে চোখের কোণে জমা হওয়া একফোঁটা অশ্রু সেই আগুন নেভাতে সক্ষম। আল্লাহ্-র সামনে দাঁড়িয়ে কাঁদুন। জীবনে যত কষ্ট আছে সব তাঁর নিকট সমর্পণ করুন। হতাশা আর অভিযোগ নিয়ে নয়, কৃতজ্ঞতা নিয়ে। এই কষ্টগুলো যেভাবে আল্লাহ্-র নিকটবর্তী করেছে, অন্য কিছু পারেনি। এসব আল্লাহ্-র রহমত। আমরা বুঝতে পারিনা। সূরা যারিয়াত আমার অসম্ভব প্রিয় একটি সূরা। সেখানে আল্লাহ্ জান্নাতিদের বৈশিষ্ট্য বলেছেন "তারা রাতের সামান্য অংশই ঘুমিয়ে কাটাত। রাতের শেষ প্রহরে আল্লাহ্-র কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করত।" আমরা কি কথাটার ভার বুঝতে পারি!! আল্লাহ আমাদের সবকিছু বুঝার তৌফিক দান করুক ((আমিন্))