শাশুড়িকে হিট করতে পারবে

 


শাশুড়িকে হিট করতে পারবে

এক ক্রিকেটার নিজের উন্নতিতে বেশ অভিভূত। তাই এক খেলায় তিনি তাঁর শাশুড়িকে খেলা দেখার দাওয়াত দেন। ব্যাট হাতে ক্রিজে গিয়ে তিনি বেশ নার্ভাস বোধ করেন।
তখন পেছনের উইকেট কিপারকে বলেন, ‘আমার খুব দুশ্চিন্তা হচ্ছে, এই বলটি আমি ঠিকমতো হিট করতে পারব কি না? গ্যালারিতে আমার শাশুড়ি বসে আছেন।’
উত্তরে উইকেট কিপার বললেন, ‘আমি বাজি ধরে বলতে পারি, তুমি কোনোদিনও অতদূরে তোমার শাশুড়িকে হিট করতে পারবে না।’


মুস্তাফিজের দুর্দান্ত বোলিং

দুর্দান্ত কাটার মুস্তাফিজের সামনে কোনো ব্যাটসম্যানই টিকতে পারছিল না। ব্যাটসম্যানরা যায় আর আসে। ছয়জন আউট হওয়ার পর সাত নম্বর ব্যাটসম্যান মাঠের দিকে যাচ্ছে।
যাওয়ার সময় প্যাভিলিয়নের গেট দিয়ে বের হয়ে আবার গেটটাকে আটকাতে যাচ্ছিল-
দর্শক : খামোখা কষ্ট করছেন কেন দাদা? একটু পরেই তো আউট হয়ে ফিরবেন, তখন না হয় একেবারে আটকে দেবেন!


তোমাকে দেখাচ্ছি আমি এখানে কী করি

এক খামার মালিক শখ করে একটা জেব্রা কিনে এনেছে আফ্রিকা থেকে। এক ভোরে জেব্রাটা বেরিয়ে এলো তার আস্তাবল থেকে। খামারের ভেতরে ঘুরতে লাগলো সে, আর ভাবতে লাগলো, এখানে তার কাজ কী হতে পারে? প্রথমে তার দেখা হলো একটা মুরগির সাথে-
জেব্রা : সুপ্রভাত। তুমি এখানে কী করো?
মুরগি : সুপ্রভাত। আমি আমাদের মালিকের খাবারের জন্যে ডিম পাড়ি।

এরপর তার দেখা হলো একটা গরুর সাথে-
জেব্রা : সুপ্রভাত। তুমি এখানে কী করো?
গরু : সুপ্রভাত। আমি আমাদের মালিকের খাবারের জন্যে দুধ দিই।

তারপর দেখা হলো একটা ছাগলের সাথে-
জেব্রা : সুপ্রভাত। তুমি এখানে কী করো?
ছাগল : সুপ্রভাত। মালিক আমাকে মেরে আমার মাংস খায়।

জেব্রা কিছুটা ঘাবড়ে গিয়ে সামনে এগোলো। এবার তার দেখা হলো একটা ষাঁড়ের সাথে-
জেব্রা : সুপ্রভাত। তুমি এখানে কী করো?
ষাঁড় : সুপ্রভাত। তুমি একটু দাঁড়াও! আমি তোমাকে দেখাচ্ছি আমি এখানে কী করি।


দু’টা কানই কাটা

রিয়াদ সাহেব অফিসের জন্য একজন সহকারী খুঁজছেন। ইন্টারভিউ বোর্ডে প্রথম প্রার্থীকে জিজ্ঞেস করলেন-
রিয়াদ সাহেব : দেখুন, এ পেশায় খুব মনোযোগী হতে হয়, অনেক সূক্ষ্ম ব্যাপার খেয়ালে রাখতে হয়। আপনি কি আমার সম্পর্কে এমন কিছু খেয়াল করতে পারছেন?
প্রথম প্রার্থী : নিশ্চয়ই স্যার। আপনার তো দু’টা কানই কাটা!
রিয়াদ : বেরো এখান থেকে, ব্যাটা নচ্ছাড়!

দ্বিতীয় প্রার্থীকেও একই প্রশ্ন করলেন তিনি-
রিয়াদ : দেখুন, এ পেশায় খুব মনোযোগী হতে হয়, অনেক সূক্ষ্ম ব্যাপার খেয়ালে রাখতে হয়। তা, আপনি কি আমার সম্পর্কে এমন কিছু খেয়াল করতে পারছেন?
দ্বিতীয় প্রার্থী : জ্বি স্যার। আপনার তো দু’টা কানই কাটা!
রিয়াদ : বেরো এখান থেকে, ব্যাটা ফাজিল!

তৃতীয় প্রার্থীকেও একই প্রশ্ন করলেন-
রিয়াদ : দেখুন, এ পেশায় খুব মনোযোগী হতে হয়, অনেক সূক্ষ্ম ব্যাপার খেয়ালে রাখতে হয়। আপনি কি আমার সম্পর্কে এমন কিছু খেয়াল করতে পারছেন?
তৃতীয় প্রার্থী : জ্বি স্যার। আপনি কন্ট্যাক্ট লেন্স পরে আছেন।
রিয়াদ : বাহ, আপনি তো বেশ- তা কীভাবে বুঝলেন?
তৃতীয় প্রার্থী : সোজা স্যার। আপনি চশমা পরবেন কীভাবে? আপনার তো দু’টা কানই কাটা!


এইডা রেল স্টেশন

এক মেয়ে ভুল করে অন্য ট্রেনে উঠে পড়ল। পরের স্টেশনে নেমে এক খোড়া লোককে জিজ্ঞাসা করল-
মেয়ে : এইটা কোন স্টেশন?

কিন্তু হৈ চৈ এর কারণে উত্তর শুনতে না পেয়ে লোকটাকে ধরে টেনে ওয়েটিং রুমে নিয়ে আবার জিজ্ঞাসা করল-
মেয়ে : এইটা কোন স্টেশন?
লোক : একশ’ বার কইরা কইলাম যে, এইডা রেল স্টেশন। আর আপনে বিশ্বাসই করতাছেন না।


আমি আঙুর বিক্রি করি না

আবুল মিঞা ফলের দোকানদার। একদিন তার দোকানে এলেন এক অদ্ভুত ক্রেতা-
ক্রেতা : আমাকে এক কেজি আপেল দিন তো। প্রতিটা আপেল আলাদা আলাদা প্যাকেটে দেবেন।
আবুল মিঞা তা-ই করলেন।

ক্রেতা : হু, এবার আমাকে এক কেজি আম দিন। এ ক্ষেত্রেও প্রতিটা আম ভিন্ন ভিন্ন ঠোঙায় দেবেন।
আবুল মিঞা তা-ই করলেন।

ক্রেতা তখন দেখছিলেন, আবুল মিঞার দোকানে আর কী কী আছে। আবুল চটজলদি দুই হাতে আঙুরগুলো আড়াল করে বললেন, ‘ভাই, আমি আঙুর বিক্রি করি না!’


নৌকা পার হতে ভয় পায়

রজনীকান্ত মহল্লায় ঘুরতে বের হলেন। দেখলেন যে তার এলাকার সীমানায় যে নদী আছে; সেখানে একটা কাঠের ব্রিজ তৈরি হচ্ছে। সে রেগে গিয়ে ইঞ্জিনিয়ারকে জিজ্ঞেস করলো, ‘কে এই ব্রিজ তৈরির অনুমতি দিয়েছে?’ ইঞ্জিনিয়ার বলল, ‘একজন গায়িকা এদিক দিয়ে যাবে; সে নৌকা পার হতে ভয় পায়। তাই এই ব্রিজ তৈরি করা হয়েছে। তার নাম হচ্ছে…’

রাগান্বিত রজনীকান্ত মুহূর্তে ব্রিজটা ভেঙে ফেলল পুরো কথা না শুনেই। ইঞ্জিনিয়ার দুঃখ করে বলতে লাগলো, ‘তার নাম হচ্ছে ইভা রহমান। তার আরেক জায়গায় কনসার্ট ছিল। এখন তো সে যেতে পারবে না। তার এখন এখানেই কনসার্ট করতে হবে’

রজনীকান্ত এক সেকেন্ডে একটা লোহার ব্রিজ বানিয়ে বলল, ‘নাও. আমি কি মজাও করতে পারব না, তোমরা সবসময় আমাকে এত সিরিয়াসলি নাও কেন?’


আমার টাকা ফেরত দিন

এক ভদ্রমহিলা ভীষণ রেগেমেগে খেলনার দোকানে ঢুকলেন। সঙ্গে নিয়ে আসা খেলনাটা ফেরত দিয়ে বললেন-
ভদ্রমহিলা : আমার টাকা ফেরত দিন! নিয়ে যান এই খেলনা।
বিক্রেতা : কেন, কী হয়েছে? এটা তো খুবই ভালো খেলনা।
ভদ্রমহিলা : এটা ভাঙে না কিন্তু এই খেলনা দিয়ে পিটিয়ে আমার ছেলে বাড়ির অন্য সব খেলনা ভেঙে ফেলেছে।


হবু পুত্র বধূকে দুইটা আইসক্রিম দিন

এক পিচ্চি মেয়ে দোকানদারকে বলছে, `আচ্ছা আঙ্কেল আমি যখন বড় হবো তখন আপনি কি আপনার ছেলের সঙ্গে আমাকে বিয়ে দেবেন?`
দোকানদার হেসে বললো, `হ্যাঁ মামনি, অবশ্যই দেবো।`
মেয়ে : ঠিক আছে, তাহলে আপনার হবু পুত্র বধূকে ফ্রি দুইটা আইসক্রিম দিন!


গার্লফ্রেন্ডই আমাকে ভিক্ষুক বানিয়েছে

ভিক্ষুক : স্যার, ২০ টাকা দেন। কফি খাবো।
লোক : কেন? কফিতো ১০ টাকা কাপ।
ভিক্ষুক : সাথে গার্লফ্রেন্ড আছেতো, তাই. . . .
লোক : ভিক্ষুক হয়ে আবার গার্লফ্রেন্ডও বানিয়েছ?
ভিক্ষুক : জ্বি না স্যার। গার্লফ্রেন্ডই আমাকে ভিক্ষুক বানিয়েছে।


আলাদিনের চেরাগ

একবার জলি আলাদিনের চেরাগ পেল। ঘষা দিতেই দৈত্য হাজির…

অতঃপর জলির তিনটি ইচ্ছা–

১ম ইচ্ছা, আমাকে অনেক ধৈর্যশীল করে দাও।

২য় ইচ্ছা ,পৃথিবীর যত প্যাচ আর কুটনামি শেখার এবং বোঝার ক্ষমতা দাও।

৩য় ইচ্ছা, এমন কিছু দাও যা কোনো দিন শেষ হবে না।

অতঃপর, দৈত্য অনেক বুদ্ধি করে তাকে হিন্দি সিরিয়াল
ও স্টার জলসা দেখতে বসিয়ে দিলো!


আমার সাথে দৌড় দিন

দূর থেকে এক লোক দেখলো ছোট্ট জনি লাফাচ্ছে। একটু কাছে এসে দেখলো আসলে ছোট্ট জনি কলিং বেল চাপতে চেষ্টা করছে কিন্তু কলিং বেলের নাগাল পাচ্ছে না। সে ভাবলো, আহারে ছোট্ট ছেলেটা কতো কষ্ট করছে, একটু সাহায্য করি।
লোকটি ছোট্ট জনিকে বললো, ‘আমি কি বেলটা চেপে দেবো?’
জনি বললো, ‘আচ্ছা দিন।’
যেই লোকটি বেল চাপলো তখন ছোট্ট জনি বললো, ‘কাজ শেষ। এইবার আমার সাথে দৌড় দিন!’


আত্মহত্যা করতে গিয়ে ব্যর্থ

বিল্টু আত্মহত্যা করতে গিয়ে অনেকবার ব্যর্থ হয়েছে। এইবার সে ঠিক করল একদম কোমর বেঁধে নামবে। বাজারে গিয়ে এক বোতল বিষ, এক টিন কেরোসিন, একটা পিস্তল, একটা দড়ি, একটা ম্যাচ কিনল।

এইসব কিনে সে চিন্তা করল বিষ খাবে, গায়ে আগুন ধরাবে, দড়িতে ঝুলবে, আবার পিস্তল দিয়ে মাথায় গুলি করবে।

সে অনুযায়ী নির্জন এক পুকুর পাড়ে গেল সে। প্রথমে গাছে উঠল। গলায় দড়িটা বেঁধে গায়ে কেরোসিন দিল, তারপর বিষটা খেয়েই গায়ে আগুন দিল।

এরপর হাতে পিস্তল নিয়ে গাছ থেকে ঝুলে পড়ল। দড়িতে ঝুলতে ঝুলতে পিস্তল দিয়ে মাথায় গুলি করতে গিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হল। দড়িতে গুলি লেগে দড়ি কেটে গেল। সে গিয়ে পড়ল পানিতে। আগুন গেল নিভে। অতিরিক্ত পানি খেয়ে বিষক্রিয়া নষ্ট হয়ে গেল। মরতে পারল না এবারও।


রজনীকান্ত কি কি পারেন

তামিল এই সুপারস্টার রজনীকান্ত কি কি পারেন। কিছু কৌতুক শেয়ার করা হলো:
* রজনীকান্তকে গতকাল গুলি করা হয়েছিল, আজ ওই গুলিকে সমাহিত করা হয়েছে!
* রজনীকান্ত আমেরিকার এক সন্ত্রাসীকে মেরে ফেলেছেন! কীভাবে? ব্লুটুথ দিয়ে!
* রজনীকান্তের পালস মাপা হয় রিখ্টার স্কেলে!
* আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল টেলিফোন আবিষ্কারের সাথে সাথে বুঝতে পারলেন যে রজনীকান্ত তাকে ২টা মিসকল মেরেছেন!
* রজনীকান্ত ৫টা ভাষায় শিস বাজাতে পারেন!
* রজনীকান্তই একমাত্র ব্যক্তি, যে কিনা তার গার্লফ্রেন্ডের ভুল স্বীকার করতে বাধ্য করাতে পারেন!
* মার্ক জুকারবার্গ ফেসবুক আবিষ্কারের সাথে সাথেই দেখলো যে রজনীকান্তের রিকোয়েস্ট পেন্ডিংয়ে আছে!
* রজনীকান্ত আকাশে সাঁতার কাটতে আর পানিতে উড়তে পারেন!
* রজনীকান্ত কাঁচ দিয়ে পাথর ভাঙতে পারেন!
* রজনীকান্ত একটি রোড রোলার কিনেছেন তার কাপড় ইস্ত্রি করার জন্য!
* রজনীকান্ত একবার বৃষ্টির মৌসুমে ক্রিকেট খেলতে গিয়েছিলেন। ম্যাচের কারণে বৃষ্টিই পরিত্যক্ত হয়ে গিয়েছিল!


বান্টিও এখনো পড়তে জানে না

ছোট্ট মলি বসে আঁকিবুঁকি করছিল। এমন সময় মা বললেন-
মা : মলি মা আমার, কী করছ?
মলি : বান্টিকে চিঠি লিখছি মা।
মা : কিন্তু তুমি তো এখনো লিখতে জানো না।
মলি : বান্টিও এখনো পড়তে জানে না মা।


বাজে মেয়েটাকেই ঘরের বউ

বাবা : তুমি যদি ওই বাজে মেয়েটার সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ না করো তাহলে আমি তোমার হাত খরচ বন্ধ করে দেব।
বিল্লাল : আর তুমি যদি আমার হাত খরচ দ্বিগুন না করে দাও তাহলে আমি ওই বাজে মেয়েটাকেই তোমার ঘরের বউ করে আনব।


কষ্টে চোখ বন্ধ হয়ে যায়

এক কিংবদন্তী শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী একবার মহিনকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন-
শিল্পী : আচ্ছা বলতো, উচ্চাঙ্গ সংগীত যারা গায়; তারা চোখ বন্ধ করে গায় কেন?
মহিন : আসলে ওনারা দর্শক শ্রোতাদের কষ্টটা সহ্য করতে পারেন না। তাই কষ্টে চোখ বন্ধ হয়ে যায়।


আপনার দোকানের নাম কী

দোকানদার ও ভদ্রলোকের মধ্যে কথোপকোথন-
ভদ্রলোক : আপনার দোকানের নাম কী?
দোকানদার: দরকার কী?
ভদ্রলোক : এমনি। নামটা কী বলবেন?
দোকানদার : বললাম তো দরকার কী?
ভদ্রলোক : আপনি তো ফাজিল লোক একটা।
দেকানদার : আরে ভাই চেতেন কেন? আমার দোকানের নামই তো ‘দরকার কী’।


ইন্টারভিউ বোর্ডে এক যুবক

ইন্টারভিউ বোর্ডে এক যুবককে প্রশ্ন করা হলো-
প্রশ্নকর্তা : ‘ডাক্তার আসিবার পূর্বে রোগি মারা গেল’- এর ইংরেজি কী হবে?
প্রার্থী : এটার ইংরেজি পারি না স্যার। আরবি পারি।
প্রশ্নকর্তা : আরবিটাই বল শুনি।
প্রার্থী : ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।


আপনি আমাকে কিস করবেন

মেয়ে সাধু বাবার কাছে গিয়ে-
মেয়ে : বাবা আমাকে ভবিষ্যৎ দেখানো শিখিয়ে দিন।
সাধু : চোখ বন্ধ করে ঠোঁট আমার কাছে নিয়ে আসো বালিকা।
মেয়ে : না।
সাধু : কেন?
মেয়ে : আপনি আমাকে কিস করবেন।
সাধু : আরে বাহ, তুমি তো ভবিষ্যৎ দেখা শিখে গেছো।


দাও না গো, একটু খেলি

প্রোগ্রামার স্বামী ল্যাপটপ নিয়ে কাজে মগ্ন। স্ত্রী এসে-
স্ত্রী : দাও না গো, একটু খেলি?
মনিটর থেকে চোখ না সরিয়ে-
প্রোগ্রামার : তুমি যখন রান্না করো, আমি কখনো হাঁড়ি চাই তোমার কাছে?


শক্তিবর্ধক মাদক

একটু পরই শুরু হবে ঘোড়দৌড়! এমন সময় দেখা গেল এক জকি তার ঘোড়াকে কী যেন খাওয়াচ্ছেন। দেখেই এক নিরাপত্তাকর্মী ছুটে এলেন।
রাগতস্বরে বললেন, ‘হেই! আপনি আপনার ঘোড়াকে কোনো শক্তিবর্ধক মাদক খাওয়াচ্ছেন না তো?’
জকি বললেন, ‘না, না! এটা একটা চকোলেট। নিন নিন, আপনিও খান। এই দেখুন, আমিও খাচ্ছি। এটা একটা সাধারণ চকোলেট ছাড়া কিছুই না।’
নিরাপত্তারক্ষী চকোলেটসদৃশ বস্তুটা মুখে দিলেন। বললেন, ‘হু, চকোলেটই তো মনে হচ্ছে। ঠিক আছে।’
নিরাপত্তারক্ষী চলে গেলেন। জকি এবার ফিসফিস করে তাঁর ঘোড়ার কানে কানে বললেন, ‘এখন দৌড়ে তোকে কেউ হারাতে পারবে না। শুধু আমি আর ওই নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া!’

ঝড় থেকে বাঁচার দোয়া | Very Funny Jokes


ঝড় থেকে বাঁচার দোয়া

আকাশে ঝড়ের কবলে পড়েছে উড়োজাহাজ। এয়ার হোস্টেস এসে জিজ্ঞেস করল-
এয়ার হোস্টেস : ঝড় থেকে বাঁচার দোয়া কেউ জানেন?
মন্টু : আমি জানি, ম্যাম!
এয়ার হোস্টেস : তাহলে আপনি দোয়া পড়তে থাকেন, স্যার! বাকি সবাই লাইফ জ্যাকেট পাবেন। আমাদের লাইফ জ্যাকেট একটা কম আছে তো।


গড ব্লেস ইয়্যু মাই সন

প্রতিদিন সামান্য ব্যাপার নিয়ে চিৎকার করে বাড়ি মাথায় তোলা তোর মা আজকে এতো চুপচাপ বসে আছে কেন রে? ছেলে: তেমন কিছুনা বাবা। মা আমার কাছে লিপস্টিক চেয়েছিল, কিন্তু আমি শুনেছি গ্লু স্টিক! বাবা: গড ব্লেস ইয়্যু মাই সন!


টিকটিকি না হইয়া কুমির

১ম টিকটিকি : ধুর, আজকে হঠাৎ বাপ-মার উপর চরম জিদ উঠছে।
২য় টিকটিকি : কেন বন্ধু? হঠাৎ বাপ-মার উপর জিদ কেন?
১ম টিকটিকি : আরে আজকে টিভিতে হরলিক্সের অ্যাড দেখলাম।
২য় টিকটিকি : তো?
১ম টিকটিকি : ছোটবেলায় বাপ-মা যদি নিয়ম কইরা হরলিক্স খাওয়াইতো তাইলে কি হইতো বুঝস নাই?
২য় টিকটিকি : না তো। কি হইতো?
১ম টিকটিকি : আরে ব্যাটা, আমরা তাইলে টিকটিকি না হইয়া কুমির হইতাম!


আলুর বস্তায় বিড়াল

গেরস্তের তাড়া খেয়ে তিন চোর গিয়ে ঢুকল এক আলুর গুদামে। ঢুকেই তিনজন চটপট তিনটা আলুর বস্তার ভেতর ঢুকে পড়ল।

ছুটতে ছুটতে গেরস্তও এসে ঢুকলেন আলুর গুদামে। কী মনে করে যেন হাতের লাঠি দিয়ে একটা বস্তায় খোঁচা দিলেন। ভেতর থেকে শব্দ এলো, ‘ম্যাঁও’। ‘ওরে, আলুর বস্তায় কখনো বিড়াল থাকে?’ বলেই গেরস্ত বস্তার ভেতর থেকে প্রথম চোরকে পাকড়াও করলেন।

আরেকটা বস্তায় খোঁচা দিতেই ভেতর থেকে শব্দ এল, ‘ঘেউ-ঘেউ’! ‘ওরে, আলুর বস্তায় কখনো কুকুর থাকে?’ বলেই গেরস্ত বস্তার ভেতর থেকে দ্বিতীয় চোরকে পাকড়াও করলেন।

এবার আরেকটা বস্তায় খোঁচা দিতেই এবার ভেতর থেকে শব্দ এল, ‘আলু, আলু’!


জীবন দিলি, তবুও ইজ্জত দিলি না

একটি মোরগ একটি মুরগিকে তাড়া করছিল। আর মুরগির মালিক দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তা দেখছিল। তো মোরগ মুরগিকে তাড়া করতে করতে হঠাৎ মুরগিটি একটি গাড়ির নিচে পড়ে মারা গেল। আর তখনই মুরগির মালিকের চিৎকার-
‘বাহ! সাবাস মুরগি, সাবাস। জীবন দিলি, তবুও ইজ্জত দিলি না। সাবাস!’


ক্যারিয়ারটাই বরবাদ কইরা দিলো

একদিন এক মশা আরেকটি মশাকে বলে-
১ম মশা : এই তুই বড় হইয়া কি হবি?
২য় মশা : আমি ডাক্তার হমু, তুই কি হবি?
১ম মশা : আমি, আমি বড় হইয়া ইঞ্জিনিয়ার হইমু চিন্তা করতাছিএমন সময় একজন এসে মশা মারার ওষুধ ছিটালো। তখন মশাগুলো অজ্ঞান হতে হতে বলে উঠল-
মশা : ধুর, ক্যারিয়ারটাই বরবাদ কইরা দিলো


আমার এইডস হইছে

আসুন দেখা যাক পশু-পাখিরা ফেসবুকে থাকলে তাদের স্ট্যাটাস কেমন হত-
তেলাপোকা : আজ বহুত কষ্টে এক মাইয়ার পায়ের তলা থাইক্যা বাঁচলাম। আমারে দেইখ্যা যে চিৎকারটা না দিলো, অল্পের জন্য হার্ট অ্যাটাক করি নাই। আল্লাহ বাঁচাইছে।

বিড়াল : হায় আল্লাহ, এ কী বিপদে পড়লাম! আমার সাত নাম্বার বাচ্চা জানতে চাইতেছে ওর বাপ কে! কী জবাব দিব বুঝতেছি না। আমি নিজে জানলে তো!

শুকর : কোন পাজি যে ছড়াইতেছে, আমরা নাকি ফ্লু ছড়াইতাছি। একবার খালি পাইয়া লই।

মুরগী : কাল থেকে যদি আমার স্ট্যাটাস না পান তবে বুঝবেন ফাস্ট ফুডে আমারে সার্ভ করা হইতেছে।

মশা : সবাই ভালো থাকবেন। আজকের এই স্ট্যাটাস হয়ত বা আমার শেষ স্ট্যাটাস। আমার এইডস হইছে। কোন দুঃখে যে ওর রক্ত খাইতে গেছিলাম। আমি আর এ পৃথিবীতে মুখ দেখাবো কেমনে? তাই মৃত্যুই শ্রেয়। বিদায় বন্ধু বিদায়।


একটু আগে একটি ব্যাগ পেয়েছি

গানের অনুষ্ঠান চলার সময় বল্টু একবার এফএম রেডিও’র আরজেকে ফোন দিলো-
বল্টু : হ্যালো।
আরজে : জি, আমি আরজে আবু বলছি।
বল্টু : আমি রাস্তায় একটু আগে একটি ব্যাগ পেয়েছি। যাতে ৫০ হাজার টাকা, একটা ক্রেডিট কার্ড আর কাশেম নামের এক লোকের পরিচয়পত্র পেয়েছি।
আরজে : তাই? আপনি কত সৎ যে এত কিছু পেয়েও কাশেম সাহেবকে সব কিছু ফিরিয়ে দিতে চাচ্ছেন। আমি কি এখনি কাশেম সাহেবকে আপনার সাথে কনট্যাক্ট করার জন্য রেডিওতে বলে দিবো?
বল্টু : আরে ঐ সব বাদ দেন, আমি আপনাকে ফোন দিছি কারণ কাশেম সাহেব এখন কষ্টে আছেন, তাই তাকে একটা দুঃখের গান ডেডিকেট করতে চাই আপনার রেডিওর মাধ্যমে।


আম্পায়ার তো আমার ওপাশে

স্বর্গ ও নরকের মধ্যে ক্রিকেট ম্যাচ হবে। তাই খুব উত্তেজনা। দুই পক্ষই যার যার দল নিয়ে খুব আশাবাদী।
ঈশ্বর অবাক হয়ে শয়তানকে প্রশ্ন করলেন, ‘তুমি জয়ের আশা করছ কীভাবে? সব ভালো খেলোয়াড় তো স্বর্গে আছেন।’
শয়তান মুচকি হেসে জবাব দিল, ‘তাতে সমস্যা নেই। সব আম্পায়ার তো আমার ওপাশে।’


তোমার চুল কাটানোটা ভালো হয়েছে

আগামী ম্যাচ হচ্ছে টিমের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তাই দলের অন্যতম ফাস্ট বোলার পুরো সপ্তাহ ধরে কঠিন পরিশ্রম করলেন। পুরো সপ্তাহ তিনি নেটে অনুশীলন করে কাটালেন। সবশেষে ম্যাচের আগের দিন মাঠে প্রাকটিসের এক ফাঁকে কোচকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কোনো পার্থক্য কি চোখে পড়ছে?’
কোচ তাঁকে আগাগোড়া একনজর দেখলেন। তারপর বললেন, ‘হ্যাঁ, তোমার চুল কাটানোটা ভালো হয়েছে।’


তুমি ওটাও মিস করবে

একটা ফ্রি হিট মিস করে ব্যাটসম্যান বলছিল, ‘ইস, কী একটা চান্স মিস করলাম! মন চাইছে নিজেকেই নিজে পেটাই।’ তার আক্ষেপ শুনে এক সমর্থক মন্তব্য করে বসে, ‘সে চেষ্টা করো না, তুমি ওটাও মিস করবে।’


ভালো অঙ্কের টিউটর

বাবা : আজ স্কুলের টিচার কী বললেন?
হাবলু : বললেন তোমার জন্য একজন ভালো অঙ্কের টিউটর রাখতে।
বাবা : মানে?
হাবলু : মানে, তুমি হোমওয়ার্কের যে অঙ্কগুলো করে দিয়েছিলে সব ভুল ছিল।


আমি ওর বউকে মারলাম

রুবেলের মেয়ে তার বরের সাথে ছয় মাস পর ফিরে এসেছে কাঁদতে কাঁদতে-
রুবেল : এই কী হয়েছে, কাঁদছিস কেন?
মেয়ে : বাবা, তোমার জামাই আমাকে বাম গালে মেরেছে।

এই শুনে রুবেল তার মেয়ের ডান গালে পটাস করে একটা চড় মারলো-
মেয়ে : কী হল, মারলে কেন?
রুবেল : দেখ মা, আমার মেয়েকে ও মেরেছে, আমি ওর বউকে মারলাম।


অফিসের বড়কর্তার কাণ্ড

অফিসের নতুন বড়কর্তা কাজের ব্যাপারে খুব কড়া। কাউকে একবিন্দু ছাড় দেন না। চাকরির প্রথম সপ্তাহেই একদিন ক্ষেপে গেলেন তিনি। রেগেমেগে রুম থেকে বের হয়েই এক লোককে পাকড়াও করলেন। অফিসের সবার সামনে চিৎকার করে বললেন-
বড়কর্তা : তুমি সপ্তাহে কত টাকা মাইনে পাও, শুনি?
লোক : ৩ হাজার টাকা।

বড়কর্তা তার মুখের ওপর ৩ হাজার টাকা ছুড়ে দিয়ে বললেন-
বড়কর্তা : এই নাও তোমার এ সপ্তাহের মাইনে, আর বেরিয়ে যাও।

লোকটি বের হয়ে যাওয়ার পর বড়কর্তা বললেন-
বড়কর্তা : প্রয়োজন হলে এভাবেই অফিসের প্রত্যেককে বের করে দেব আমি। যা হোক, ওই লোকটা আমাদের অফিসে কী কাজ করে?
কর্মচারী : স্যার, ও আমাদের এখানে পিৎজা ডেলিভারি দেয়।

মেয়েটি মা হতে চলেছে


মেয়েটি মা হতে চলেছে
মেয়ে: আমি মা হতে চলেছি।
মা: কোথায় গেছিলি বংশের মুখ কালো করার জন্য? বল তাড়াতাড়ি, নইলে সিমেন্টের সাথে দেয়ালে একেবারে প্যাকেট করে রেখে দেব!
মেয়ে: স্কুলের একটা নাটকে ‘মা’র চরিত্রে অভিনয় করতে চলেছি আমি।

****

বন্ধুর মেসেজ পড়ে অজ্ঞান!
গতকাল রাতে এক বন্ধু রনিকে একটি মেসেজ দিয়েছে। মেসেজটি পড়ে রনি ভয়ে লাফিয়ে উঠলো। মেসেজটি ছিল এ রকম-
‘প্রিয় বন্ধু, এখন আমার হাতে এক বোতল বিষ। আমি মুক্তি পেতে চাই। এত জ্বালা আমার আর সহ্য হয় না, এত যন্ত্রণা আর ভালো লাগে না। আমি রাতে ঘুমাতে পারি না, ঠিকমত খেতে পারি না। সব সময় রুমের ভেতর একটু বেশি যেন অস্থির থাকি, যেটা আমাকে ভীষণ কষ্ট দেয়। তাই যাচ্ছি… ইঁদুর মারতে। শুভ রাত্রি!’

 

আজকের কৌতুক : মেয়েদের মাথায় এতো চুল কেন?

মেয়েদের মাথায় এতো চুল কেন
শ্রেণিকক্ষে এক ম্যাডাম শিশুদের পড়াচ্ছেন-
পল্টু: ম্যাম! গান্ধীজীর মাথায় চুল ছিল না কেন?
ম্যাডাম: কারণ তিনি সব সময় সত্য কথা বলতেন, কখনো মিথ্যা বলতেন না!
পল্টু: ও! তাই তো বলি, মেয়েদের মাথায় এতো চুল কেন!

****

তাঁবু থেকে আকাশ দেখার উপায়
দুই বন্ধু পিকনিকে গেছে। রাতে একটি তাঁবু টানিয়ে তার ভেতর ঘুমিয়ে পড়ল। মাঝরাতে এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে ডেকে তুলল-
১ম বন্ধু: দোস্ত, আকাশ দেখতাছস?
২য় বন্ধু: হ দোস্ত। দেখতাছি তো।
১ম বন্ধু: কী বুঝলি?
২য় বন্ধু: আকাশে কোনো মেঘ নাই। অনেক তারা দেখা যাচ্ছে। তার মানে, আজ বৃষ্টি হবে না।
১ম বন্ধু: ওরে আবহাওয়াবিদের বাচ্চা! আমাগো তাঁবুডা চুরি হইয়া গেছে, এই জন্যই আকাশ দেহা যাইতাছে!

****

কোলবালিশ যেভাবে এলো
প্রশ্নকর্তা: কোলবালিশ কিভাবে এলো?
প্রার্থী: কোলবালিশ যিনি আবিষ্কার করেছেন; তিনি আসলে অনেকগুলো বিয়ে করেছিলেন!
প্রশ্নকর্তা: কেন?
প্রার্থী: কারণ এর থেকেই তিনি আসলে অনুধাবন করতে পেরেছিলেন, বউ থেকে কোলবালিশ উত্তম! কারণ কোলবালিশ পালতে কোনো খরচই হয় না!

 

 

অনলাইনে মজার মজার গল্প, বুদ্ধিদীপ্ত কৌতুক, সাম্প্রতিক বিষয়

 

 

হায়রে আমার সিদ্ধান্ত

গরুর মাংসের কেজি যখন ৮০ টাকা ছিল, তখন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ২০০ টাকা হলে খাওয়া বাদ দিয়ে দেব! গরুর মাংসের কেজি এখন ৫২০ টাকা, এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছি পাঁচ হাজার টাকা কেজি হলে খাওয়া বাদ দিয়ে দেব!

রোহিত হাসান কিসলু

 

 

একটি সিঙ্গেল ছেলের আত্মকাহিনি

আমাদের ব্যাচের মেয়েরা বড়ভাইদের সঙ্গে প্রেম করত। তাই ভাবতাম, যেদিন বড়ভাই হব সেদিন হয়তো প্রেম হবে। কিন্তু আফসোস, জুনিয়র মেয়েরা পলিসি চেঞ্জ করেছে! তারা এখন ক্লাসমেটদের সঙ্গেই প্রেম করে। তাই বড়ভাইরা সিঙ্গেল রয়ে গেল।

কানন শূন্য

 

 

বিসিএস ক্যাডার

কয়েকটা ঐর দেওয়ার পরও রিপ্লাই না করা জুনিয়র মেয়েটাও আজ ঈড়হমত্ধঃঁষধঃরড়হং জানাচ্ছে সদ্য ইঈঝ ক্যাডারে মনোনীত ক্যাম্পাসের বড় ভাইয়াকে।

মনে মনে আক্ষেপ, ইস্ কেন যে আগে থেকেই ইনবক্সে ভাব-ভালোবাসা আরেকটু জমাইনি!

সাদিক খান

 

সমাধান

অথচ সিনেমার শেষে ছোট করে ‘কালেক্টেড’ লিখে দিলেই কত সমস্যার সমাধান হয়ে যেত!

অনুপম হোসাইন পূর্ণম

 

পৌরসভা

মিটিং না ডাইকাও যে সংস্থায় ১২ মাসই সভা থাকে তারেই পৌরসভা বলে।

জগলুল হায়দার

 

অনলাইনে মজার মজার গল্প, বুদ্ধিদীপ্ত কৌতুক, সাম্প্রতিক বিষয়

 

ফাঁদ

মেয়েদের বলা সবচেয়ে বড় মিথ্যা, ‘কী হয়েছে বলো আমাকে, আমি একদমই রাগ করব না।’

এই ফাঁদে পা দিছুইন তো মরছুইন।

 

লাইক

: তোমার ব্যবসা কেমন চলছে?

: জি আম্মা, ভালোই।

: আগে কয়টা লাইক পাইতা, এখন কয়টা লাইক পাও?

: খারাপ না।

: লাইক দিয়ে সংসার চালানো যায়?

: থ্যাংক ইউ, আম্মা।

: থ্যাংক ইউ কেন?

: ভাবতেছি এইটা নিয়ে একটা স্ট্যাটাস দিমু।

মাজহার মিথুন

 

জীবন থেকে শিক্ষা

থ্রি ইডিয়ট শিখিয়েছে—‘বন্ধু যখন ফেল করে অনেক কষ্ট লাগে, কিন্তু বন্ধু যদি প্রথম হয়ে যায় তখন আরো বেশি কষ্ট লাগে।’

আমি শেখাচ্ছি—‘বন্ধু যখন বেকার থাকে তখন অনেক কষ্ট লাগে, কিন্তু বন্ধু যখন ভালো চাকরি পেয়ে যায় তখন আরো বেশি

কষ্ট লাগে।’

অনামিকা মণ্ডল

 

ছড়া

কেউ জানে না, আমি তো জানি

তুমি আমার,

কারণ তোমার বাপের আছে

ডিমের খামার।

ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল

 

পজিশন

বন্ধু : সংসারে আপনার পজিশন কী?

স্বামী : সব সময়ই অপজিশন।

খায়রুল বাবুই

 

 

এ যুগের কনসার্ট

একটা কনসার্টে গেলাম সেদিন। গেটে টিকিট দেখালাম। ইভেন্টের অর্গানাইজারের পক্ষ থেকে যে ছেলেটা টিকিট চেক করছে, সে দেখলাম মাথা ঝাঁকাচ্ছে আর টিকিট চেক করছে। আমি ফিসফিস করে বউকে বললাম, ‘এ কই নিয়ে আসলা?’

‘আন্ডারগ্রাউন্ড কনসার্ট এটা। এভাবে মাথা নাড়ানোকে হেড বো করা বলে। এটাই নিয়ম। এটাই স্টাইল।’

‘আমিও ঝাঁকাব?’

গেটের ছেলেটা মাথা ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে বলল, ‘এই গেট না ব্রো। পেছনের গেটে যান। ভুল গেটে চলে এসেছেন।’

আমি বললাম, ‘আপনার বডি ল্যাঙ্গুয়েজের সঙ্গে মুখের কথা তো মেলে না। দূর থেকে কেউ দেখলে ভাববে মাথা ঝাঁকিয়ে বুঝি এই গেটের কথাই বলছেন, অথচ আমি কাছ থেকে শুনছি—না, এই গেট না।’

উনি মাথা ঝাঁকানো থামিয়ে এবার আমার দিকে তাকালেন ভালো মতো। আমি তাঁর হাত থেকে টিকিটটা টান দিয়ে নিয়ে মাথা ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে হাঁটা দিলাম। আশপাশে ড্রামের দ্রুম দ্রুম শব্দ হচ্ছে। হলের ভেতর ঢুকে দেখি, সবাই একইভাবে মাথা ঝাঁকাচ্ছে। একটু পরে বউ আমাকে বলে, ‘তোমার চোখের চশমা কই? ঝাঁকাতে গিয়ে ফেলায়ে দিসো নাকি?’

আমি মাথা ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে বললাম—‘না না, খুলে ব্যাগে রেখে দিয়েছি। এত বোকা না আমি। কী করলে কুল হয় আর কী করলে বেক্কুল হয় আমি জানি।’

হলের ভেতরের এক কর্নারে খাবার বিক্রি হচ্ছে। যিনি বিক্রি করছেন তিনিও মাথা ঝাঁকাচ্ছেন। আমি গিয়ে বললাম, ‘আমাকে এক প্যাকেট মাথা না ঝাঁকিয়ে পপকর্ন দেন। ঝাঁকানির চোটে তো অর্ধেক পড়ে যাচ্ছে আপনার দোকানের ভেতরেই। এটা কি বিজনেস ট্রিক নাকি আসলেই মিউজিক এনজয় করছেন?’

উনি মাথা ঝাঁকানো থামিয়ে আমার দিকে তাকালেন ভালো করে। আমি তাঁর হাত থেকে পপকর্নের প্যাকেটটা টান দিয়ে নিয়ে মাথা ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে হাঁটা দিলাম। ড্রামের দ্রুম দ্রুম শব্দ চলছে। বউ বলল, ‘চলো যাইগা’।

‘কোন গেট দিয়ে বের হব? সব গেটে দায়িত্বপ্রাপ্ত পাঙ্কুই তো মাথা ঝাঁকাচ্ছে।’

...কনসার্ট ছিল ভাই আমাদের সময়। বামবার কনসার্ট হয় না আজ কত দিন? ১৫ বছর? ১৭ বছর? হয়তো আরো বেশি। শাহীন স্কুলের মাঠে কনসার্ট হতো। এটা হয়তো এখন অনেকেই বিশ্বাস করবে না। ধানমণ্ডির সুলতানা কামাল কমপ্লেক্সের বাউন্ডারি ওয়াল টপকে কত কনসার্টে যে ঢুকেছি। কানে বাজতে থাকত—‘কতবার ছেড়েছি, ছাড়ব না এবার...বাংলার লাঠিয়াল বাংলার লাঠিয়াল বাংলার লাঠিয়াল।’

সুর কানে আসার পর সেই সাত ফুট ওয়াল থেকে কিভাবে নামব, ভুলে জেতাম। এক লাফে মাঠে নেমে দৌড়। কানে ভেসে আসত, ‘ওগো সোনার মেয়ে...বলো না কী পেয়েছ...হূদয় খুলে আপন ভুলে...ভালো কি বেসেছ...বলো না কী পেয়েছ।’

সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসত। সুর উঠতেই থাকত।

‘অর্ধেক পূর্ণিমা রাতে, মেঘের আড়ালে আকাশের লুকোচুরি খেলা, নির্ঘুম রাত শেষে চাঁদের ফাঁসি হয়, সূর্যের আশীর্বাদে ক্লান্ত প্রভাতে, সূর্যের আশীর্বাদে যে পথে পথিক নেই ...’।

বন্ধুর কোলে মাথা রেখে আকাশের তারার দিকে তাকিয়ে মিলিয়ে নেওয়া। ‘আমার নষ্ট হওয়া একটা পলক/নিজের চোখে তুলে নিলেই বুঝতে তুমি/কষ্ট কাকে বলে!’

...একেকটা কনসার্ট ছিল সো রিফ্রেশিং। পরের দিন নতুন উদ্যম পেতাম। এখনকার মতো ঘাড়ব্যথা নিয়ে বাসায় ফিরতে হতো না। ডাক্তারের পরামর্শে গলায় হালকা হলুদ রঙের শক্ত কলার পরে আগামী সাত দিন থাকতে হতো না। বলছি না, আমাদের জেনারেশনই ঠিক, এই জেনারেশন ভুল। হয়তো আমরাই ব্যাকডেটেড। হয়তো সামনের ২০ বছর পরের কোনো জেনারেশনের ছেলে-মেয়েরা এখনকার জেনারেশনকে এভাবেই হেয় করে বলবে—‘কী বেক্কল জেনারেশন ছিল রে ভাই...শুধু মাথা ঝাঁকাইত! ফুল বডি না ঝাঁকিয়ে শুধু মাথা ঝাঁকানোটা কী খেত না? একদম নট কুল। এই, তোর গায়ের জামা কই? বডি ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে খুলে পড়ে গেল না তো?’

‘না না, খুলে ব্যাগে রেখে দিয়েছি। অত বোকা না আমি। কী করলে কুল হয় আর কী করলে বেক্কুল হয় আমি জানি।’

 

 

 

সাধু বাবার খপ্পরে

 


এক সাধু বাবা এক পার্টিতে পৌঁছতেই তাঁকে নিয়ে সবাই হাসিঠাট্টা শুরু করল।

সাধু : আমি সাধুসন্ত মানুষ। আমার সঙ্গে যদি এ রকম ঠাট্টা-তামাশা করিস, তাহলে আমার অভিশাপে তোরা সব অন্ধ-খোঁড়া-লুলা হয়ে যাবি বদমাইশের দল।

সবাই আরো জোরে জোরে হাসতে শুরু করল।

একটু পরেই দেখা গেল কেউ আর চোখে দেখতে পাচ্ছে না। সবাই সাধু বাবার পায়ে গিয়ে পড়ল। বলতে লাগল, ‘বাবা, আমরা পাপী, আমরা অবুঝ, আমাদের ক্ষমা করো বাবা।’

সাধু বাবা তখন তাঁর জুতা খুলে সবাইকে মারা শুরু করল, আর বলতে লাগল, ‘শালা, ইলেকট্রিসিটি চলে গেছে। কেউ গিয়ে জেনারেটর অন কর বেক্কলের দল। আমিও কিছু দেখতে পাচ্ছি না।’

 

আজকের জোকস : কোন মশা কেমন আচরণ করে?

 

কোন মশা কেমন আচরণ করে?
শিক্ষক: বলো তো মশা কয় প্রকার?
ছাত্র: মশা আট প্রকার। যথা-
১. যে মশা গায়ে বসামাত্রই কামড়ায় তাকে রাক্ষস মশা বলে।
২. যে মশা দিনের বেলায় কামড়ায় তাকে সন্ত্রাসী মশা বলে।
৩. যে মশা নাকের ভেতর ঢুকে কামড়ায় তাকে নমরুদী মশা বলে।
৪. যে মশা সুযোগ পেলেই কামড়ায় তাকে সুযোগসন্ধানী মশা বলে।
৫. যে মশা কানের কাছে এসে গান গায় তাকে গায়ক মশা বলে।
৬. যে মশাকে থাপ্পর দিলে ফাঁক দিয়ে চলে যায় তাকে গোল্লাছুট মশা বলে।
৭. যে মশা কামড় দিলে জ্বর হয় তাকে বিষাক্ত মশা বলে।
৮. যে মশা মশারির ভেতর ঢুকে কামড়ায় তাকে মূর্খমশা বলে।

****

অফিস অফিস


অফিসে নানা রকম মজার ঘটনা ঘটে। তেমনই কিছু ঘটনা দেখে নিন। আইডিয়া মেহেদী আল মাহমুদ

 বস : হাসান সাহেব, কাল নাকি আপনি অফিস টাইমে মিস ডলিকে নিয়ে সিনেমায় গিয়েছিলেন? ওকে আমার সঙ্গে একবার দেখা করতে বলুন।

হাসান : কিন্তু স্যার, ও কি আপনার সঙ্গে সিনেমা দেখতে যেতে রাজি হবে?

 

♦ বস : আলম, কাল যে তোমাকে বলেছিলাম ফাইলটা দিতে, দাওনি কেন?

আলম : স্যার, আলমারির চাবিটা যে আপনার কাছে ছিল।

বস : তা থাক, দ্যাটস নট দি পয়েন্ট, তুমি ফাইলটা দাওনি কেন?

 

♦ কর্মচারী : ডেকেছিলেন স্যার?

বস : আপনি এত ভালো কাজ করেন যে আমি ভাবতেও পারি না, আপনাকে ছাড়া কী করে অফিস চলবে! সোমবার থেকে চেষ্টা করে দেখব, আপনাকে ছাড়াও অফিস চলে কি না!

 

♦ কর্মচারী : স্যার, আজ দুপুরের পর আমাকে কিছুক্ষণের জন্য ছুটি দেবেন? আমার স্ত্রীকে নিয়ে একটু শপিংয়ে যেতে হবে।

বস : না, কোনো ছুটি নেই।

কর্মচারী : আপনি আমাকে বাঁচালেন স্যার। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

 

♦ প্রথম বন্ধু : তোকে এত খুশি দেখাচ্ছে কেন?

দ্বিতীয় বন্ধু : জানিস, কাল থেকে আমার দুই সপ্তাহের ছুটি। কাল থেকে আমি এক সপ্তাহের ছুটিতে যাচ্ছি। তার পরের সপ্তাহে যাচ্ছেন আমার বস।

 

♦ বস : কাল অফিসে আসোনি কেন?

কর্মচারী : আমার বাবা মারা গেছেন গতকাল।

বস : তোমার বাবা তো আমাদের অফিসের স্টাফ নয়, তিনি না এলেও কিছু যায়-আসে না। তুমি আসোনি কেন?

 

♦ বস : তুমি Wife dying বলে অফিস কামাই দিলে, অথচ আমি দেখলাম তোমার স্ত্রী একটি বিউটি পার্লার থেকে বেরোচ্ছে!

কর্মচারী : স্যার, ঠিকই দেখেছেন, আমি ‘হেয়ার ডাইং’-এর কথাই বলতে চেয়েছিলাম।

 

♦ মহিলা সেক্রেটারি : স্যার, আপনার স্ত্রী সব সময় আমাকে সন্দেহের দৃষ্টিতে কেন দেখে?

বস : কারণ তোমার আগে সে আমার সেক্রেটারি ছিল।

পিকিউলিয়ার কন্ডাক্টর সিনড্রোম


আমার বিয়ে বেশিদিন হয়নি, কিন্তু এর মধ্যেই আমি গণ্ডগোলের গন্ধ আঁচ করতে পেরেছি। আমার বউয়ের নাম ইন্দিরা। ওর একটা অদ্ভুত রোগ আছে, যেটা বিয়ের আগে শ্বশুরবাড়ি থেকে কেউ জানায়নি। বিয়ের কিছুদিন পর নিজে থেকেই জানতে পেরেছি। রোগের নামও অদ্ভুত, পিকিউলিয়ার কন্ডাক্টর সিনড্রোম। মানে, আমার বউ থেকে থেকে বাসের কন্ডাক্টরের মতো আচরণ করে। অবচেতন মনেই। সেটাও আমি বুঝতে পেরেছি।

প্রথম যেদিন টের পেলাম, সেদিন আমাদের ফুলশয্যা। আমি ঠিক করেছিলাম ওকে সহজ হওয়ার জন্য সময় দেব। ফুলশয্যার রাতে দু-একটি কথা বলেই ঘুমিয়ে পড়ব। সারা দিনের খাটাখাটুনিতে দুজনেই ক্লান্ত থাকব। সেটাই বরং ভালো হবে। আমি সেই মতো সবাই ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর দরজায় ছিটকিনি তুলে দিয়ে বিছানায় বউয়ের পাশে এসে বসলাম। কোনো কথা খুঁজে না পেয়ে শেষে বললাম—‘তুমি নিশ্চয়ই ক্লান্ত হয়ে আছ?’

ইন্দিরা মাথা নাড়ল। আমিই আবার বললাম, ‘তাহলে শুয়েই পড়ো, নাকি?’ ইন্দিরা বোধ হয় বুঝল যে ওরও দু-একটি কথা বলা উচিত। ও ইতস্ততভাবে বলল, ‘না না, কথা বলুন না।’

আমি এক মিনিট ভেবে বললাম, ‘তুমি সহজ হতে পারো আমার সঙ্গে। আমাকে আপনি করে বলতে হবে না। আমাকে তোমার বন্ধু ভাবতে পারো নিঃসন্দেহে। আমার সঙ্গে ইয়ার্কি মারতে পারো। মানে ফ্রাংক হতে পারো।’

ইন্দিরা লাজুক মুখেই আমার দিকে হাত বাড়িয়ে বলে উঠল, ‘কই আপনারটা দেখি।’

এই আমি যে আমি এতক্ষণ ফ্রাংক হওয়ার ব্যাপারে এত কথা বললাম, সেই আমিও লজ্জা পেয়ে গেলাম। কোনো রকম বললাম, ‘মানে আজকেই! মানে এত তাড়াতাড়ি না করলেও হবে।’

ইন্দিরা লজ্জায় মুখ ঘুরিয়ে শুয়ে পড়ল। আমি জেগে রইলাম। অনেকক্ষণ অপেক্ষায় থেকে শেষে হতাশ হয়ে ভোর ৪টার সময় ঘুমাতে গিয়েছিলাম। তখন কি আর জানতাম ইন্দিরা আমার কাছে টিকিট চাইছিল, অন্য কিছু না। যাকগে। আমার তাড়া ছিল না বাপু।

তখনো কিছু আন্দাজ করতে পারিনি। ইন্দিরা আমার সঙ্গে তেমন কথা বলত না। ইশারা-ইঙ্গিতে কথা বলত। মাঝেমধ্যে মনে হতো আমার বউ হয়তো বোবা। তাতে অবশ্য আমার খুব একটা অসুবিধা হচ্ছিল না।

মুখ খোলে না, খোলে না, কিন্তু যেদিন মুখ খুলল সেদিন গোটা বাড়িতে হৈচৈ পড়ে গেল। প্রথমেই বলে রাখি, আমাদের জয়েন্ট ফ্যামিলি। এই নিউক্লিয়ার ফ্যামিলির যুগে যখন সবাই আলাদা আলাদা কক্ষপথে নিজস্ব পেয়ার তৈরি করে ইলেকট্রনের মতো ঘুরপাক খাচ্ছে, তখন আমার বাবা আর জেঠা সিদ্ধান্ত নেয়, তারা একসঙ্গে থাকবে আমাদের পৈতৃক ভিটায়। আমিও তাই আমার জেঠতুতো দাদার সঙ্গেই বড় হয়েছি। আমাদের মধ্যে বেশ মিলমিশ। ভালোবাসা।

যা হোক, কথা থেকে সরে যাচ্ছি। আমাদের এই পুরনো বাড়িতে একটাই সমস্যা, আর সেটা হলো বাথরুম। গোটা বাড়িতে মাত্র দুটি বাথরুম। একটি বাড়ির বাইরের দিকে। সেটায় খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ যাই না। বাড়ির মধ্যে যে বাথরুমটি আছে, সেটাই সবাই ব্যবহার করি। ইন্দিরা সেদিন স্নান করতে ঢুকছিল, হঠাত্ আমার জেঠা পেটে হাত দিয়ে ছুটতে ছুটতে এসে বলে, ‘বউমা, তুমি একটু বাইরেরটায় যেতে পারবে? আমার ভীষণ ইমার্জেন্সি।’

আমার জেঠা সরল মানুষ। সরল মনেই কথাটা বলেছিল। সে আর কী করে জানবে আমার বউ প্রত্যুত্তরে ‘আচ্ছা’ না বলে বলবে, ‘চলুন চলুন,  ভেতরে চলুন। আরো একজনের জায়গা হবে।’

কথাটা শুনেই তো আমার জেঠা অবাক হয়ে গেল।

এই ঘটনাটা আমাদের বাড়িতে আমাশয়ের মতো ছড়িয়ে পড়ল। জেঠা এরপর আর কোনো দিনই ইন্দিরার মুখোমুখি হওয়ার সাহস দেখায়নি। বেশ কয়েক দিন আড়ালে ছিল। ইন্দিরাও দরজায় খিল তুলে বসেছিল। সবাই আড়ালে কথা বলতে শুরু করেছিল। ব্যাপারটা আমার খারাপ লাগল। ইন্দিরার সঙ্গে আমার অল্প দিনের পরিচয় হলেও সে আমার বউ। তা ছাড়া ইন্দিরা এ রকমভাবে বললই বা কেন! সেটা জানাও প্রয়োজন। আমি ঘরের দরজা বন্ধ করে সরাসরি ওকে প্রশ্ন করলাম, ‘আচ্ছা তুমি সত্যিই জ্যাঠাকে ওই কথাটা বলেছ?’

ইন্দিরা নিরুত্তর।

আমি আবার প্রশ্ন করলাম, ‘কেন বলেছ?’

এবার একটু কড়াভাবে। বুঝলাম ও ঘামতে শুরু করেছে। তবুও কোনো উত্তর দিল না। আমি থাকতে না পেরে গলাটা আরেকটু তুলে দিলাম, ‘বলবে কী কিছু?’

দেখলাম ইন্দিরার চোখে জল চলে এসেছে। ও ছলছল চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বলল, ‘আমি ইচ্ছা করে বলিনি। এটা আমার একটা রোগ।’

‘রোগ?’ আমি আশ্চর্য হয়ে গেলাম, ‘তোমার বাথরুমে যেতে গেলে সঙ্গে কাউকে লাগে? আমাকে বলতে। জ্যাঠাকে কেন বলতে গেলে?’

ইন্দিরা কেঁদে উঠল, ‘আস্তে, আস্তে, লেডিস আছে।’

আমি চমকে উঠলাম। ঘরের বাইরে থাকা আমার মা আরো চমকে উঠল। মায়ের হাত থেকে গরম চায়ের কাপ পড়ে গিয়ে ভেঙে টুকরা টুকরা হয়ে গেল। আমাদের কথা এগোল না আর। কিন্তু আমার মনে সন্দেহ দানা বেঁধে গেল, কিছু একটা আছে। আমাকে জানতে হবে। ঠিক করলাম একেবারে কম্পানিতে গিয়েই খোঁজ নেব, ম্যানুফ্যাকচারিং ডিফেক্টটা কী, কারণ আমি তো ‘হ্যান্ডেল উইথ কেয়ার’ করেছি।

তাই সে মুহূর্তে আর কিছু বললাম না। ইন্দিরাকে শান্ত করলাম। ওর গায়ে, মাথায় হাত বুলিয়ে বললাম, ‘আচ্ছা তোমাকে আর কিছু বলতে হবে না। আমি বুঝতে পেরেছি। আমি জ্যাঠামণিকে বুঝিয়ে বলে দেব।’

দুদিন পরে শ্বশুরবাড়িতে গেলাম। আমাকে দেখে শ্বশুরমশাইয়ের কপালে ভাঁজ দেখা দিল। আমি সরাসরি তাঁকে প্রশ্ন করলাম, ‘আপনার মেয়ের রোগটা কী বলুন তো।’

শ্বশুরমশাই এড়িয়ে যেতে চাইলেন, ‘কী রোগ থাকবে? কিছু তো নেই। তুমি বসো। আমি ইন্দিরার মাকে চা করে আনতে বলি।’

আমি শ্বশুরমশাইয়ের হাত ধরে তাঁকে বসিয়ে দিলাম, ‘পরিষ্কার করে বলুন তো ব্যাপারটা কী। আপনার মেয়ে নিজে আমাকে বলেছে ওর রোগ আছে। কী রোগ সেটা বলেনি। বাড়িতে এমনিতেই অনেক ক্যাচাল হয়ে গেছে। আপনি আর কথা ঘোরাবেন না প্লিজ।’

শ্বশুরমশাই বুঝলেন, পালানোর আর পথ নেই। তিনি আমতা আমতা করে আমাকে সব বললেন। শুনে তো আমার মাথায় হাত। এ রকম আবার হয় নাকি? এ তো প্রথম শুনছি। কেউ থেকে থেকে বাস কন্ডাক্টরের মতো হয়ে যায়! আমি ঘটনাগুলো মনে করার চেষ্টা করলাম। দুয়ে দুয়ে চার হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু তাও এ আবার কি অদ্ভুত রোগ রে বাবা।’

আমি হাজারটা চিন্তা করতে করতে যখন বাড়ি ফিরি তখন দেখি পুরো বাড়ি সুনসান। জ্যাঠারা কেউ বাড়িতে নেই। বাবাও নেই। শুধু এক কোণে আমার মা মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে। আমি ব্যাগ নামিয়ে মাকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘মা কী হয়েছে গো? কাউকে দেখছি না।’

মা কটমট করে আমার দিকে তাকিয়ে বলল, ‘সবাই অর্পিতাকে নিয়ে নার্সিং হোমে গেছে।’

‘বউদি নার্সিং হোমে’, আমি চমকে উঠলাম, ‘কী হয়েছে?’

মা ফোঁস করে উঠল, ‘কী আবার হবে। তোমার ওই গুণধর বউয়ের জন্য এবার আমাদের বাড়িতে আগুন লাগবে।’

আমি ঢোক গিললাম, ‘কেন, ইন্দিরা আবার কী করল?’

মা যেন আরো খেপে গেল, ‘কী করেছে? অর্পিতা ছাদে রেলিংয়ে ভর দিয়ে কাপড় মেলছিল। তোমার বউ হঠাত্ করে আমার সামনেই ওকে ডেকে বলল, ‘বাঁয়ে বাঁয়ে’। বেচারী অর্পিতা বাঁ দিকে কাত হতেই ধড়াম করে ছাদ থেকে পড়ে গেল। কে জানে কতগুলো হাড় ভেঙেছে!’

আমি আঁতকে উঠলাম। মাকে কী করে বলব, তোমার বউমা জাত কন্ডাক্টর। চুপচাপ কেটে পড়েছি ওখান থেকে।

আপাতত ভাড়া বাড়িতে আছি। বাবা ঘাড়ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। একটা ফ্ল্যাট খুঁজছি। এখানেও বেশিদিন থাকা যাবে না। দুদিন আগেই আমার বউ বাড়িওয়ালীকে জিজ্ঞেস করেছে, ‘কোথায় নামবেন দিদি?

তোর ভাবির সাথে


একদিন হাবলু হঠাৎ তার ভাবিকে ধরে প্রচুর মারধর করতে লাগল! সবাই অবাক হয়ে হাবলুকে থামালো আর জিজ্ঞেস করল-
প্রতিবেশী : তুমি তোমার ভাবিকে মারছ কেন?
হাবলু : আমার ভাবি ভালো মহিলা না!
প্রতিবেশী : তুমি কীভাবে বুঝলা?
হাবলু : আর বইলেন না! আমি আমার যেই বন্ধুকেই ফোনে কথা বলতে দেখে জিজ্ঞেস করি, কার সাথে কথা বলিস? সেই বন্ধুই উত্তর দেয়, তোর ভাবির সাথে!


ছেলেকে পিটানোর জন্য না

মা: বজ্জাত ছেলে কোথাকার! এতবার বলি, তারপরেও সোফায় শুয়ে থাকিস। আজ জুতিয়ে তোকে সিধা করবো,
বল্টু: মা! মা! আর হবে না এমন এবারের মতো,
মা: আর হবে না কেন? তুই আবার করবি এই কাজ! সোফা হচ্ছে বসার জন্য, এটা তো শোয়ার জন্য না,
বল্টু: মা, স্যান্ডেলও তো পায়ে দেওয়ার জন্য, ছেলেকে পিটানোর জন্য না!


এবার মাফ করেন

এক ফকির পিচ্চি মেয়েকে বলছে-
ফকির : আল্লাহর ওয়াস্তে কিছু দে বেটা।
পিচ্চি : আমি বেটা না, বেটি।
ফকির : আল্লাহর ওয়াস্তে কিছু দে বেটি।
পিচ্চি : আমার নাম স্বর্ণা।
ফকির : আল্লাহর ওয়াস্তে কিছু দে স্বর্ণা।
পিচ্চি : আমার পুরা নাম নাদিয়া শারমিন স্বর্ণা।
ফকির : আল্লাহর ওয়াস্তে কিছু দে নাদিয়া শারমিন স্বর্ণা।
পিচ্চি : হ্যাঁ, এখন ঠিক আছে! এবার মাফ করেন।

Bangla jokes collection, Mojar jokes, Funny jokes, Gopal var jokes, teacher-student jokes provided by mojarjokes.com


অফিসে অন্য কারো আকর্ষণের শিকার

বস: অফিসে যেসব পুরুষ অধিক সময় কাটায়, হামেশা ওভারটাইম করে তারা আসলে খুব পরিশ্রমী। এদের স্ত্রীরা খুব সুখী।
বল্টু: না স্যার! আসল কারণ হইলো- হয় বাড়িতে এরা সারাক্ষণ বউয়ের নির্যাতনের শিকার নয়তো অফিসে অন্য কারো আকর্ষণের শিকার।


তুমি অবশ্যই আমেরিকান

এক পাগল এক চাইনিজকে জিজ্ঞেস করছে-
পাগল : তুমি কি আমেরিকান?
চাইনিজ : না, আমি চাইনিজ।
পাগল : তুমি আমেরিকান না?
চাইনিজ : না, আমি চাইনিজ।
পাগল : মিথ্যা বলছ, তুমি অবশ্যই আমেরিকান।
চাইনিজ : হ্যাঁ বাবা। আমি আমেরিকান। খুশি?
পাগল : কিন্তু চেহারা দেখে তো মনে হয় তুমি চাইনিজ।

একেবারেই টাকলু হয়ে যাইনি


 

বস: কী ব্যাপার! আপনি এতক্ষণ কোথায় ছিলেন?
কর্মী: চুল কাটাতে গিয়েছিলাম।
বস: কি! আপনি অফিস টাইমে চুল কাটাতে গিয়েছিলেন?
কর্মী: তাতে কী হয়েছে? চুলটাও তো অফিস টাইমে বড় হয়েছিল।
বস: সেটা তো বাড়ি থাকাকালীনও বড় হয়েছে।
কর্মী: তাই বলেই তো একেবারেই টাকলু হয়ে যাইনি। যতটুকু অফিসে বড়ো হয়েছিল ততটুকু কেটেছি!

সে আমাকেও দেখতে এসেছিল

নায়ক সালমান খান মেয়ে দেখতে গেছে। মেয়ের মা তাকে দেখে বেহুঁশ হয়ে গেল। হুশ ফিরে আসার পর সবাই তাকে জিজ্ঞেস করল-
সবাই : বেহুশ হলে কেন?
মেয়ের মা : ২০ বছর আগে সে আমাকেও দেখতে এসেছিল।

ওইটা আমার লাঞ্চ বক্স

জুতা পছন্দ করতে গিয়ে দোকানের প্রায় সব ডিজাইন উল্টেপাল্টে দেখছেন লাবনী। এতে জুতার শো-রুম একেবারে তছনছ হয়ে গেল। কিন্তু পছন্দ হলো না একটিও। এ সময় তার নজর পড়ল অন্যরকম একটি বাক্সের ওপর-
লাবনী : ওই বক্সটা একটু দেখান, প্লিজ। ওটার ভেতরে যে ডিজাইনটা আছে, তা দেখবো।
দোকানদার : দয়া করেন আপা, ওইটা আর দেখতে চাইবেন না!
লাবনী : এটা কেমন কথা! কাস্টমার দেখতে চাচ্ছে।
দোকানদার : আপা, ওইটা আমার লাঞ্চ বক্স!

 

খরচের মাত্রা চারগুণ হয়ে গেছে

ওসি: ক্রেডিট কার্ড হারানোর সঙ্গে সঙ্গে রিপোর্ট করেননি কেন?
মন্টু: কার্ডটা চুরি হওয়ার পর দেখলাম চোর আমার বউয়ের থেকে কম খরচ করছে,
ওসি: এখন রিপোর্ট করাতে আসছেন কেন?
মন্টু: এখন মনে হচ্ছে কার্ডটা এবার চোরের বউয়ের হাতে পড়েছে, খরচের মাত্রা চারগুণ হয়ে গেছে।

 

হেয়ার ডাইগুলো একসপ্তাহের বেশি থাকে না

পল্টু ভোট দিয়ে পোলিং অফিসারকে জিজ্ঞাসা করল-
পল্টু: স্যার, আঙুলের এই দাগ কি পানি দিয়ে ধুলে যাবে?
অফিসার: না।
পল্টু: তা হলে স্যার! সাবান দিয়ে ধুলে যাবে?
অফিসার: না।
পল্টু: তাহলে স্যার কতদিন পরে উঠবে?
অফিসার: একবছর পর যাবে।
পল্টু: তাহলে আরও একটু দেবেন স্যার?
অফিসার: কেন?
পল্টু: চুলে লাগাব স্যার। আজকাল হেয়ার ডাইগুলো একসপ্তাহের বেশি থাকে না।

 

 

আজকের জোকস : বিয়ে করার ব্যতিক্রমী প্রস্তাব

 


বিয়ে করার ব্যতিক্রমী প্রস্তাব
মায়া ও ছায়া দুই বোন। বাবুল ভালোবাসে মায়াকে। কিন্তু কথাটি মুখ ফুটে বলতে সাহস পাচ্ছে না। একদিন খুব সাহস করে মায়ার হাত ধরে বলল-
বাবুল: মায়া, তুমি ছায়ার কাছ থেকে আমার একটা কথার জবাব এনে দেবে?
মায়া: কী কথা?
বাবুল: এ মাসে ও আমার শালী হতে রাজি আছে কি-না?

****

 

৩০ বছরে ৩৫ বছরের অভিজ্ঞতা
এক লোক চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গেলেন-
প্রশ্নকর্তা: আপনার বয়স কত?
প্রার্থী: ৩০ বছর।
প্রশ্নকর্তা: আগে কোনো চাকরি করেছেন?
প্রার্থী: করেছি।
প্রশ্নকর্তা: কত বছর?
প্রার্থী: ৩৫ বছর।
প্রশ্নকর্তা: কিভাবে সম্ভব? আপনার বয়স তো ৩০ বছর।
প্রার্থী: বোঝেন নাই, ওভার টাইম করেছি।

****

অহংকারের জবাব যেমন হয়
গোপালের দোতলা বাড়ি তৈরি হলে সে তার প্রতিবেশী এক ভাইপোকে ছাদের উপর দাঁড়িয়ে ডাকতে লাগল, ‘রাখাল, ও রাখাল, কী করছিস ওখানে?’ রাখাল বুঝলো কাকা দোতলা বাড়ি দেখাচ্ছে। তাই সে কোনো কথা বলল না।

এর বহুদিন পর রাখালও নিজের চেষ্টায় ছোটখাট একটি দোতলা বাড়ি তৈরি করে ফেলল। তারপর গোপালের মতো ছাদে উঠে ডাকতে লাগল, ‘কাকা, ও কাকা, সে বছর আমায় ডেকেছিলে কেন?’

 

Read More

 

ছেলেকে ১০ কেজি পেঁয়াজ দিতে হবে

 

১৯৯০ সাল।
ছেলে বিয়েতে যৌতুক হিসেবে সাইকেল চাইত।
২০০০ সাল।
ছেলে বিয়েতে যৌতুক হিসেবে মোটরসাইকেল চাইত।
.



.
.
২০৩০ সাল।
ঘটক আর মেয়ের বাবার মধ্যে কথাবার্তা হচ্ছে।
‘ছেলেপক্ষের একটা আবদার আছে…’
মেয়ের বাবা জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালেন।
‘ছেলেকে ১০ কেজি পেঁয়াজ দিতে হবে। ছেলের অনেকদিনের শখ।’
‘১০ কেজি?’ মেয়ের বাবা আকাশ থেকে পড়লেন।
‘একটু কমানো যায় না? দরকার হলে আমাদের একটা টয়োটা করলা দিয়ে দিলাম।’ মেয়ের বাবা মিন মিন করে বলল।
‘নাহ ভাই। বললাম না ছেলের অনেক দিনের শখ।’
মেয়ের বাবা নিমরাজী হলেন। কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ।

বিয়ের দিন।
কাজী বিয়ে পড়াতে শুরু করতেই ছেলের বাবা উঠে দাঁড়ালেন।
‘দাঁড়ান কাজী সাহেব। আগে পেঁয়াজ বুঝে নিই। পরে বিয়ে।’
সবাই থমকে গেল। একে অপরের দিকে তাকাচ্ছে সবাই।
মেয়ের বাবা ঘর হতে একটা বাজারের ব্যাগ নিয়ে আসলেন।
‘ভাইসাহেব, এইখানে ৮ কেজি পেঁয়াজ আছে। বাকীটা আগামী সপ্তাহেই দিয়ে আসব।’
ছেলের বাবা রাগী ভঙ্গিতে তাকালেন। [ব্যাকগ্রাউন্ডে তখন ঝড়ের মিউজিক]
‘নাহ। এই বিয়ে হবে না। আরো দুই কেজি পেঁয়াজ ছাড়া এই বিয়ে সম্ভব না।’ বলেই ছেলের বাবা মেয়েদের সাততলা বাড়ি থেকে নেমে যেতে উদ্যত হলেন। ‘চলে আয় কুদ্দুস। এই বিয়ে হবে না।’
অন্দরমহলে কান্নার আওয়াজ।
মেয়ে এসে দাঁড়াল ঘরে। চোখে জল।
‘চৌধুরী সাহেব, পেঁয়াজের লোভে মানুষকে আর মানুষ মনে হয় না? মনে রাখবেন পেঁয়াজ থাকলেই বড়লোক হওয়া যায় না। বড়লোক হতে হলে দরকার সুন্দর একটা ফেইসবুক একাউন্ট। যা আপনাদের নেই। চলে যান। আমি এখুনি স্ট্যাটাস দিচ্ছি।’
কুদ্দুস উঠে দাঁড়াল। তার চোখ খুলে গেছে। এই মেয়ে আবার তার ফেসবুক ফ্রেন্ড। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলে কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে। ‘না বাবা। এই বিয়ে হবেই। পেঁয়াজ তোমাকে অন্ধ করে দিয়েছে বাবা।’

অবশেষে বিয়ের সানাই। আকাশে তারাবাত্তি।