ঝড় থেকে বাঁচার দোয়া
আকাশে ঝড়ের কবলে পড়েছে উড়োজাহাজ। এয়ার হোস্টেস এসে জিজ্ঞেস করল-
এয়ার হোস্টেস : ঝড় থেকে বাঁচার দোয়া কেউ জানেন?
মন্টু : আমি জানি, ম্যাম!
এয়ার হোস্টেস : তাহলে আপনি দোয়া পড়তে থাকেন, স্যার! বাকি সবাই লাইফ জ্যাকেট পাবেন। আমাদের লাইফ জ্যাকেট একটা কম আছে তো।
গড ব্লেস ইয়্যু মাই সন
প্রতিদিন সামান্য ব্যাপার নিয়ে চিৎকার করে বাড়ি মাথায় তোলা তোর মা আজকে এতো চুপচাপ বসে আছে কেন রে? ছেলে: তেমন কিছুনা বাবা। মা আমার কাছে লিপস্টিক চেয়েছিল, কিন্তু আমি শুনেছি গ্লু স্টিক! বাবা: গড ব্লেস ইয়্যু মাই সন!
টিকটিকি না হইয়া কুমির
১ম টিকটিকি : ধুর, আজকে হঠাৎ বাপ-মার উপর চরম জিদ উঠছে।
২য় টিকটিকি : কেন বন্ধু? হঠাৎ বাপ-মার উপর জিদ কেন?
১ম টিকটিকি : আরে আজকে টিভিতে হরলিক্সের অ্যাড দেখলাম।
২য় টিকটিকি : তো?
১ম টিকটিকি : ছোটবেলায় বাপ-মা যদি নিয়ম কইরা হরলিক্স খাওয়াইতো তাইলে কি হইতো বুঝস নাই?
২য় টিকটিকি : না তো। কি হইতো?
১ম টিকটিকি : আরে ব্যাটা, আমরা তাইলে টিকটিকি না হইয়া কুমির হইতাম!
আলুর বস্তায় বিড়াল
গেরস্তের তাড়া খেয়ে তিন চোর গিয়ে ঢুকল এক আলুর গুদামে। ঢুকেই তিনজন চটপট তিনটা আলুর বস্তার ভেতর ঢুকে পড়ল।
ছুটতে ছুটতে গেরস্তও এসে ঢুকলেন আলুর গুদামে। কী মনে করে যেন হাতের লাঠি দিয়ে একটা বস্তায় খোঁচা দিলেন। ভেতর থেকে শব্দ এলো, ‘ম্যাঁও’। ‘ওরে, আলুর বস্তায় কখনো বিড়াল থাকে?’ বলেই গেরস্ত বস্তার ভেতর থেকে প্রথম চোরকে পাকড়াও করলেন।
আরেকটা বস্তায় খোঁচা দিতেই ভেতর থেকে শব্দ এল, ‘ঘেউ-ঘেউ’! ‘ওরে, আলুর বস্তায় কখনো কুকুর থাকে?’ বলেই গেরস্ত বস্তার ভেতর থেকে দ্বিতীয় চোরকে পাকড়াও করলেন।
এবার আরেকটা বস্তায় খোঁচা দিতেই এবার ভেতর থেকে শব্দ এল, ‘আলু, আলু’!
জীবন দিলি, তবুও ইজ্জত দিলি না
একটি মোরগ একটি মুরগিকে তাড়া করছিল। আর মুরগির মালিক দাঁড়িয়ে
দাঁড়িয়ে তা দেখছিল। তো মোরগ মুরগিকে তাড়া করতে করতে হঠাৎ মুরগিটি একটি
গাড়ির নিচে পড়ে মারা গেল। আর তখনই মুরগির মালিকের চিৎকার-
‘বাহ! সাবাস মুরগি, সাবাস। জীবন দিলি, তবুও ইজ্জত দিলি না। সাবাস!’
ক্যারিয়ারটাই বরবাদ কইরা দিলো
একদিন এক মশা আরেকটি মশাকে বলে-
১ম মশা : এই তুই বড় হইয়া কি হবি?
২য় মশা : আমি ডাক্তার হমু, তুই কি হবি?
১ম
মশা : আমি, আমি বড় হইয়া ইঞ্জিনিয়ার হইমু চিন্তা করতাছিএমন সময় একজন এসে
মশা মারার ওষুধ ছিটালো। তখন মশাগুলো অজ্ঞান হতে হতে বলে উঠল-
মশা : ধুর, ক্যারিয়ারটাই বরবাদ কইরা দিলো
আমার এইডস হইছে
আসুন দেখা যাক পশু-পাখিরা ফেসবুকে থাকলে তাদের স্ট্যাটাস কেমন হত-
তেলাপোকা
: আজ বহুত কষ্টে এক মাইয়ার পায়ের তলা থাইক্যা বাঁচলাম। আমারে দেইখ্যা যে
চিৎকারটা না দিলো, অল্পের জন্য হার্ট অ্যাটাক করি নাই। আল্লাহ বাঁচাইছে।
বিড়াল : হায় আল্লাহ, এ কী বিপদে পড়লাম! আমার সাত নাম্বার বাচ্চা জানতে চাইতেছে ওর বাপ কে! কী জবাব দিব বুঝতেছি না। আমি নিজে জানলে তো!
শুকর : কোন পাজি যে ছড়াইতেছে, আমরা নাকি ফ্লু ছড়াইতাছি। একবার খালি পাইয়া লই।
মুরগী : কাল থেকে যদি আমার স্ট্যাটাস না পান তবে বুঝবেন ফাস্ট ফুডে আমারে সার্ভ করা হইতেছে।
মশা : সবাই ভালো থাকবেন। আজকের এই স্ট্যাটাস হয়ত বা আমার শেষ স্ট্যাটাস। আমার এইডস হইছে। কোন দুঃখে যে ওর রক্ত খাইতে গেছিলাম। আমি আর এ পৃথিবীতে মুখ দেখাবো কেমনে? তাই মৃত্যুই শ্রেয়। বিদায় বন্ধু বিদায়।
একটু আগে একটি ব্যাগ পেয়েছি
গানের অনুষ্ঠান চলার সময় বল্টু একবার এফএম রেডিও’র আরজেকে ফোন দিলো-
বল্টু : হ্যালো।
আরজে : জি, আমি আরজে আবু বলছি।
বল্টু : আমি রাস্তায় একটু আগে একটি ব্যাগ পেয়েছি। যাতে ৫০ হাজার টাকা, একটা ক্রেডিট কার্ড আর কাশেম নামের এক লোকের পরিচয়পত্র পেয়েছি।
আরজে
: তাই? আপনি কত সৎ যে এত কিছু পেয়েও কাশেম সাহেবকে সব কিছু ফিরিয়ে দিতে
চাচ্ছেন। আমি কি এখনি কাশেম সাহেবকে আপনার সাথে কনট্যাক্ট করার জন্য
রেডিওতে বলে দিবো?
বল্টু : আরে ঐ সব বাদ দেন, আমি আপনাকে ফোন দিছি কারণ
কাশেম সাহেব এখন কষ্টে আছেন, তাই তাকে একটা দুঃখের গান ডেডিকেট করতে চাই
আপনার রেডিওর মাধ্যমে।
আম্পায়ার তো আমার ওপাশে
স্বর্গ ও নরকের মধ্যে ক্রিকেট ম্যাচ হবে। তাই খুব উত্তেজনা। দুই পক্ষই যার যার দল নিয়ে খুব আশাবাদী।
ঈশ্বর অবাক হয়ে শয়তানকে প্রশ্ন করলেন, ‘তুমি জয়ের আশা করছ কীভাবে? সব ভালো খেলোয়াড় তো স্বর্গে আছেন।’
শয়তান মুচকি হেসে জবাব দিল, ‘তাতে সমস্যা নেই। সব আম্পায়ার তো আমার ওপাশে।’
তোমার চুল কাটানোটা ভালো হয়েছে
আগামী ম্যাচ হচ্ছে টিমের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তাই দলের অন্যতম
ফাস্ট বোলার পুরো সপ্তাহ ধরে কঠিন পরিশ্রম করলেন। পুরো সপ্তাহ তিনি নেটে
অনুশীলন করে কাটালেন। সবশেষে ম্যাচের আগের দিন মাঠে প্রাকটিসের এক ফাঁকে
কোচকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কোনো পার্থক্য কি চোখে পড়ছে?’
কোচ তাঁকে আগাগোড়া একনজর দেখলেন। তারপর বললেন, ‘হ্যাঁ, তোমার চুল কাটানোটা ভালো হয়েছে।’
তুমি ওটাও মিস করবে
একটা ফ্রি হিট মিস করে ব্যাটসম্যান বলছিল, ‘ইস, কী একটা চান্স মিস করলাম! মন চাইছে নিজেকেই নিজে পেটাই।’ তার আক্ষেপ শুনে এক সমর্থক মন্তব্য করে বসে, ‘সে চেষ্টা করো না, তুমি ওটাও মিস করবে।’
ভালো অঙ্কের টিউটর
বাবা : আজ স্কুলের টিচার কী বললেন?
হাবলু : বললেন তোমার জন্য একজন ভালো অঙ্কের টিউটর রাখতে।
বাবা : মানে?
হাবলু : মানে, তুমি হোমওয়ার্কের যে অঙ্কগুলো করে দিয়েছিলে সব ভুল ছিল।
আমি ওর বউকে মারলাম
রুবেলের মেয়ে তার বরের সাথে ছয় মাস পর ফিরে এসেছে কাঁদতে কাঁদতে-
রুবেল : এই কী হয়েছে, কাঁদছিস কেন?
মেয়ে : বাবা, তোমার জামাই আমাকে বাম গালে মেরেছে।
এই শুনে রুবেল তার মেয়ের ডান গালে পটাস করে একটা চড় মারলো-
মেয়ে : কী হল, মারলে কেন?
রুবেল : দেখ মা, আমার মেয়েকে ও মেরেছে, আমি ওর বউকে মারলাম।
অফিসের বড়কর্তার কাণ্ড
অফিসের নতুন বড়কর্তা কাজের ব্যাপারে খুব কড়া। কাউকে একবিন্দু ছাড় দেন
না। চাকরির প্রথম সপ্তাহেই একদিন ক্ষেপে গেলেন তিনি। রেগেমেগে রুম থেকে বের
হয়েই এক লোককে পাকড়াও করলেন। অফিসের সবার সামনে চিৎকার করে বললেন-
বড়কর্তা : তুমি সপ্তাহে কত টাকা মাইনে পাও, শুনি?
লোক : ৩ হাজার টাকা।
বড়কর্তা তার মুখের ওপর ৩ হাজার টাকা ছুড়ে দিয়ে বললেন-
বড়কর্তা : এই নাও তোমার এ সপ্তাহের মাইনে, আর বেরিয়ে যাও।
লোকটি বের হয়ে যাওয়ার পর বড়কর্তা বললেন-
বড়কর্তা : প্রয়োজন হলে এভাবেই অফিসের প্রত্যেককে বের করে দেব আমি। যা হোক, ওই লোকটা আমাদের অফিসে কী কাজ করে?
কর্মচারী : স্যার, ও আমাদের এখানে পিৎজা ডেলিভারি দেয়।