আমার বাড়িতে ফিরে এসেছে
এক লোক তার পোষা কবুতরগুলো হাটে তুলেছেন। ক্রেতাকে বলছেন-
বিক্রেতা : এই কবুতরগুলো নেন ভাই, খুবই প্রভুভক্ত।
ক্রেতা : তাই নাকি? তা কেমন করে বুঝলেন খুব প্রভুভক্ত?
বিক্রেতা : আমি যতবারই এগুলো বিক্রি করেছি, ততবারই আমার বাড়িতে আবার ফিরে এসেছে।
আপনার ঘরে কেউ ঢুকবে না
এক গরিব লোকের ঘরে চোর এসে আতিপাতি করে খুঁজে নিয়ে যাওয়ার মতো কিছুই পেল না। হতাশ হয়ে চোর যখন চলে যাচ্ছে-
লোক : দরজাটা বন্ধ করে যেও।
চোর : দরজা খোলা থাকলেও সমস্যা নেই। আপনার ঘরে কেউ ঢুকবে না।
একটি কেকের দাম কত
রুবেল এক দোকানে গেছে কেক কিনতে-
রুবেল : ভাই কেকের দাম কত?
দোকানদার : দুটি কেকের দাম ২৫ টাকা।
রুবেল : তাহলে এই একটি কেকের দাম কত?
দোকানদার : ১৩ টাকা।
রুবেল : ঠিক আছে, ১২ টাকায় অন্য কেকটি দিয়ে দেন।
সব সম্পদের মালিক তো তুমিই
এক বড় চাষির একমাত্র মেয়েকে বিয়ে করার জন্য ঘটক এক দিনমজুরকে প্রস্তাব দিলেন।
প্রস্তাব শুনে দিনমজুর বলল-
দিনমজুর : আমাকে কয়েকটা দিন সময় দিন। কিছু টাকাপয়সা রোজগার করে নিই।
ঘটক : টাকাপয়সা রোজগারের চিন্তা তোমাকে করতে হবে না। সব সম্পদের মালিক তো
তুমিই হবে। এমনকি বাপ হওয়ার জন্যও তোমার পাঁচ মাসের বেশি অপেক্ষা করতে হবে
না। সবকিছু তৈরিই আছে।
গত রাতে নিশ্বাস নিতে ভুলে গেছিলেন
বাড়ির মালিক মারা গেছেন। চাকর হাউমাউ করে কাঁদছে। প্রতিবেশীরা এসে জিজ্ঞেস করল, ‘কী হয়েছিল তোমার মালিকের?’
চাকর জবাব দিল, ‘ভারি ভুলোমনা মানুষ ছিলেন তিনি। বোধ হয় গত রাতে নিশ্বাস নিতে ভুলে গেছিলেন।’
পাপ ধুয়ে ফেলা
সাধুবাবা তার অনুসারীদের নিয়ে বঙ্গোপসাগরে গেছেন স্নানের জন্য। উদ্দেশ্য
পাপ ধুয়ে ফেলা। গোসল শেষ করে সবাই উঠলো কিন্তু সাধুবাবার ওঠার কোন নাম
নেই।
তা দেখে একজন বলল, ‘কি সাধুবাবা, আপনি উঠছেন না কেন?’
সাধুবাবা উত্তরে বললেন, ‘বৎস, পাপ ধোয়ার সাথে সাথে গামছাটাও যে চলে যাবে তা ভাবতেই পারিনি।’
টয়লেট পরিষ্কার করি
একদিন ছেলে বসে পড়ছিল তখন বাবা ছেলের পাশে বসল-
বাবা : তুই সারাদিন এমন চুপচাপ থাকিস কেন?
ছেলে : কেন বাবা আমি তো কথা বলি।
বাবা : তোকে অযথা এত বকাঝকা করি অথচ কিছু বলিস না। প্রতিবাদ করিস না।
ছেলে : কেন বাবা, আমি তো প্রতিবাদ করি।
বাবা : কই করিস? আমি যে দেখি না।
ছেলে : কেন বাবা, তুমি বকা দিলে আমি টয়লেটে যাই।
বাবা : টয়লেটে গেলে কি রাগ কমে? টয়লেটে গিয়ে কি করিস?
ছেলে : টয়লেট পরিষ্কার করি।
বাবা : টয়লেট পরিষ্কার করলে কি রাগ কমে?
ছেলে : কেন আমি তোমার দাঁত পরিষ্কার করার ব্রাশ দিয়ে টয়লেট পরিষ্কার করি।
নুন দিলে তো কথাই নেই
কলম মিয়ার মুলার ক্ষেত পোকায় খেয়ে শেষ করে দিচ্ছে। তাই সে গেল কৃষি বিশেষজ্ঞের কাছে।
কলম মিয়া : ডাক্তার সাব, আমার মুলার ক্ষেত তো পোকায় খেয়ে শেষ করে দিল। এখন কী করি?
কৃষি বিশেষজ্ঞ : আপনি এক কাজ করুন। পুরো ক্ষেতে লবণ ছিটিয়ে দিন।
কলম মিয়া : আহা! কী পরামর্শ? নুন ছাড়াই খেয়ে শেষ করি ফেইলছে আর নুন দিলে তো কথাই নেই।
আপনি মা হতে যাচ্ছেন
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সৈনিক সংকট দেখা দিলে কর্তৃপক্ষ নিয়ম করে দেয়, প্রতি পরিবার থেকে একজন তরুণকে যুদ্ধে অংশ নিতে হবে। জর্জ কোনো ভাবেই যুদ্ধে যাবে না।
মেডিকেল ফিটনেস পরীক্ষার জন্য যখন তার ডাক পড়ল, তখন সে তার গার্লফ্রেন্ডের ইউরিন স্যাম্পল নিজের ইউরিন স্যাম্পল বলে আর্মি হাসপাতালে জমা দিয়ে দিল। তার বান্ধবীর ছিল ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিস ধরা পড়লে সে আনফিট ঘোষিত হবে এবং তাকে যুদ্ধে যেতে হবে না।
পরদিনই ঐ তরুণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে চিঠি পেল। কনগ্রাচুলেশন! আপনি অবিলম্বে আমাদের গাইনি বিভাগে যোগাযোগ করুন। কারণ আপনি মা হতে যাচ্ছেন।
পুকুরের কুমিরগুলোর জন্য খাবার এনেছি
এক বৃদ্ধ লোকের একটি বড় ফার্ম হাউজ ছিলো। ফার্ম হাউজের পেছনে একটা বড় মাছের পুকুর ছিলো। সে সেটাকে কেটে গভীর করলো, কিছু পিকনিক টেবিল বসালো এবং কিছু গাছপালা লাগালো যাতে এটাকে একটা পিকনিক স্পট বানানো যায়।
একদিন বিকালে লোকটি পুকুরের অবস্থা দেখার জন্য চললো। তার হাতে ছিলো একটা বালতি। পুকুরের কাছে আসতেই তার নজরে পড়লো কিছু নারীকণ্ঠ। আরেকটু এগোতেই সে দেখলো স্বল্পবসনা কিছু মেয়ে পুকুরের পাশে হাসি-আনন্দ করছে।
বৃদ্ধ ভাবলো, হয়তো তারা পাশের কোন বাড়ি থেকে এসেছে। নিজের উপস্থিতি জানানোর জন্য সে গলা খাঁকাড়ি দিলো। তার আওয়াজ শুনে মেয়েরা সবাই গলাপানিতে নেমে গেলো। একজন বললো, ‘চাচা, আপনি এখান থেকে না গেলে আমরা উঠবো না।’
বৃদ্ধ বললো, ‘আমি তোমাদের শরীর দেখার জন্য এখানে আসিনি। আমি পুকুরের কুমিরগুলোর জন্য খাবার এনেছি।`
প্যান্টটিও ধুতে হবে
মিলিটারিদের সাহস পরীক্ষা করছে তাদের প্রধান। এক মিলিটারিকে দূরে দাঁড় করিয়ে রেখে মাথায় লেবু রেখে বন্দুক দিয়ে সেই লেবুটিকে গুলি করল।
মিলিটারিটি একদম নড়ল না। লেবুটি ফেঁটে গিয়ে তার শার্টটিকে নষ্ট করে দিল। তাদের প্রধান তাকে ৫০ টাকা দিয়ে বললেন-
প্রধান : সাবাস, এই টাকা দিয়ে সাবান কিনে শার্টটি ধুয়ে নিও।
মিলিটারি : তাহলে আরোও ৫০ টাকা দিন, প্যান্টটিও ধুতে হবে।
সেভ করা শুরু করলো
জসিমের সেভ করা দরকার। তাই সে তার পাড়ার নাপিতের কাছে গেল। নাপিত কেবল জসিমের গালে ফোম লাগিয়েছে, এমন সময় জসিম বলল, ‘আমার গালটা একটু ভাঙা, তাই মসৃণ সেভ হয় না, দয়াকরে খুব সাবধানে মসৃণ সেভ করে দাও।’
নাপিত তখন একটা কাঠের ছোট গোল বল জসিমের গালের ভিতরে ঢুকিয়ে দিল, তারপর সেভ করা শুরু করলো। কিছুক্ষণের মধ্যেই জসিম বুঝতে পারল, আসলেই খুব ভালো ও মসৃণ সেভ হচ্ছে। গালের ভিতর বলটি নিয়ে জড়ানো গলায় জসিম বলল, ‘খুব ভালো। কিন্তু এখন যদি আমি বলটি গিলে ফেলি তাহলে কী হবে?’
নাপিত একটুও বিচলিত না হয়ে বলল, ‘ওইটা কোনো ব্যাপার না, সবাই যেমনে পরের দিন ফিরত দিয়া যায়, আপনেও কাইলকা আইসা ফিরত দিয়া যাইয়েন।’
গাড়ির বদলে একটা নতুন গাড়ি
এক ভদ্রলোক একটা মোটর গাড়ি দুর্ঘটনায় একেবারে চুরমার হয়ে গেছে। তিনি তার
গাড়ি যেখানে বীমা করেছিলেন সেখানে গিয়ে টাকা দাবি করলেন। কোম্পানির
ম্যানেজার বললেন-
ম্যানেজার : আপনাকে তো টাকা দেয়া হবে না। আপনাকে গাড়ির বদলে একটা নতুন গাড়ি দেয়া হবে।
ভদ্রলোক : আরে আমার স্ত্রীর নামে বীমা করা, সে মরে গেলেও কি আপনারা একই ব্যবস্থা করবেন?
Bangla jokes for fun, Mojar jokes, excellent funny jokes, Gopal varer golpo, matal jokes provided by mojarjokes.com
পিঁপড়ারা বুঝতে না পারে
একজন মুদির দোকানে গেছে চিনি কিনতে। দোকানদার প্যাকেট করতে যাচ্ছিল এমন সময়…
ক্রেতা : সেকি! আমি তো আপনাকে চিনি দিতে বলছি। আপনি আমাকে লবণ দিচ্ছেন কেন?
বিক্রেতা : কই! আমি তো আপনাকে চিনিই দিচ্ছি।
ত্রেতা : তাহলে বস্তার গায়ে ‘লবণ’ লেখা রয়েছে কেন?
বিক্রেতা : যাতে করে পিঁপড়ারা বুঝতে না পারে!
ট্রেনের ডানপাশে যাচ্ছে সিলেট আর বামপাশে যাচ্ছে চট্টগ্রাম
কোনো এক যাত্রী সিলেটগামী ট্রেনের পরিবর্তে চট্টগ্রামের ট্রেনে উঠে পড়লেন। কিছুক্ষণ পর ট্রেনের অন্য এক যাত্রীকে জিজ্ঞেস করলেন—
প্রথম যাত্রী : কোথায় যাওয়া হচ্ছে ভাই?
দ্বিতীয় যাত্রী : সিলেট।
প্রথম যাত্রী : বিজ্ঞানের কী বিস্ময় দেখুন, একই ট্রেনের ডানপাশে যাচ্ছে সিলেট আর বামপাশে যাচ্ছে চট্টগ্রাম।
আয়নাটার দাম কত
মেয়ে : আয়নাটার দাম কত?
দোকানদার : ৩শ’ টাকা!
মেয়ে : এত দাম কেন? এটার মধ্যে কি কোন বিশেষ গুণ আছে?
দোকানদার : হ্যাঁ, অবশ্যই। এই আয়না ১শ’ তলা বিল্ডিংয়ের ওপর থেকে ছেড়ে দিলে ৯৯ তলা পর্যন্ত ভাঙবে না!
মেয়ে : ওয়াও, তাহলে এটা প্যাক করে দিন!
ডেডবডি আগের স্টেশনে নামিয়ে নিয়ে গেল
এক যাত্রী ট্রেনের অ্যাটেন্ডেন্ট লালুকে ১০০ টাকা দিয়ে বলল-
যাত্রী : আরেকটু বরফ আনো তো, লাস্ট পেগটা মারি।
লালু : আর তো বরফ পাওয়া যাবে না স্যার।
যাত্রী : কেন?
লালু : ডেডবডি আগের স্টেশনে নামিয়ে নিয়ে গেল যে।
ব্যাটাছেলের কাপড়ই ছিল
বিচারক : চুরি করার সময় একবারও তোমার স্ত্রী আর মেয়ের কথা মনে হয়নি?
চোর : হয়েছে, হুজুর।
বিচারক : তারপরও চুরি করলে কেন?
চোর : কিন্তু দোকানটায় শুধু ব্যাটাছেলের কাপড়ই ছিল।