অসুরক্ষিত যৌ’ন সংসর্গ থেকে সাবধান! তা নানা রোগের কারণ হতে পারে

 


 যৌন সম্পর্ক নিয়ে আমরা এখন অনেক মুক্তমনা হয়েছি। কেবলমাত্র একজনের সঙ্গেই ঘনিষ্ঠ হওয়া যায়, এমন একটা ধারণা থেকেও আজকের সমাজ ক্রমশ সরতে আরম্ভ করেছে। কিন্তু সেই সঙ্গে এটাও ঠিক যে, যৌনতা নিয়ে আপনি যত পরীক্ষামূলক হবেন, তত বাড়বে যৌন সংসর্গজনিত অসুখবিসুখের আশঙ্কা। সোজা কথায়, সুরক্ষাকবচের সাহায্য না নিয়ে সম্পর্কে লিপ্ত হলে নানা ধরনের এসডিটি (সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজ়িজ়) বা এসটিআই (সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ইনফেকশন) হতে পারে। মেয়েদের ক্ষেত্রে খুব কমন কতগুলি সমস্যা আছে – সেগুলি আপাতভাবে খুব ছোট মনে হলেও পরবর্তীকালে আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যহানির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তার মধ্যে যেগুলি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়, তা নিয়েই আপাতত আলোচনা চালানো যাক।

হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (SPV):মহিলাদের মধ্যে যে এসটিডি বা এসটিআইগুলি দেখা যায়, তার মধ্যে এইচপিভি সবচেয়ে কমন। এইচপিভি কিন্তু সারভাইকাল ক্যানসারেরও অন্যতম কারণ। আজকাল এর টীকা বেরিয়ে গিয়েছে এবং কম বয়সেই তা নিয়ে রাখা যায় সুরক্ষাকবচ হিসেবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আপনার শরীর নিজের থেকেই এইচপিভি প্রতিরোধ করে দেয়, তা সম্ভব না হলে কিন্তু জেনিটাল ওয়ার্টস হতে পারে। মুখ আর গলাতেও সংক্রমণ হয় অনেক সময়
ক্ল্যামাইডিয়া:এটিও খুব কমন এসটিডি। সাধারণত প্রস্রাব করার সময় জ্বালাভাব আর ভ্যাজাইনা থেকে দুর্গন্ধযুক্ত ক্ষরণ হয় ক্ল্যামাইডিয়া হলে। ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে এমনটা হতে পারে, অ্যান্টিবায়োটিক দিলে সেরে যায়। তবে দম্পতিদের দু’জনকেই একসঙ্গে ওষুধের কোর্স কমপ্লিট করতে হবে। মাস তিনেক বাদে আরও একবার পরীক্ষা করে তবে নিশ্চিত হওয়া যায় যে সংক্রমণ পুরোপুরি কেটেছে।

জেনিটাল হারপিস:হারপিস ভাইরাস আক্রমণ করলে ভ্যাজাইনার আশপাশে সাধারণত যন্ত্রণাদায়ক ছোট ছোট ফোসকা দেখা যায়। খুব তাড়াতাড়ি সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। যেহেতু ভাইরাল সংক্রমণ, তাই নিয়ন্ত্রণের কোনও রাস্তা নেই। তবে ব্যথা বা জ্বালা কমানোর ওষুধ খেয়ে খানিকটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

কী থেকে বুঝবেন যে আপনার এই ধরনের সমস্যা হচ্ছে?
প্রস্রাবে জ্বালাভাব ও ভ্যাজাইনা থেকে অস্বাভাবিক ক্ষরণের কথা আগেই বলা হয়েছে। সাধারণত কোনও যৌন সংক্রমণ হলে ইন্টারকোর্সের সময় ব্যথা অনুভব করবেন। তা ছাড়া যৌনাঙ্গে ফুসকুড়ি, ব্যথা বা ক্ষত হলেও সতর্ক হওয়া উচিত। অস্বাভাবিক রক্তপাত, ভ্যাজাইনায় চুলকানি, ইস্ট ইনফেকশন, কন্ডোমে অ্যালার্জিও হতে পারে। এর কোনও একটি লক্ষণ থাকলেই ডাক্তার দেখানো উচিত।
ঠেকানোর জন্য কী করবেন?

যৌন সংক্রমণ ঠেকানোর সবচেয়ে সহজ রাস্তা হচ্ছে সতর্কতা। অসুরক্ষিত সংসর্গ থেকে দূরে থাকুন। কন্ডোম আপনাকে সবচেয়ে বেশি সুরক্ষা জোগাবে। তাই যাঁরা নিয়মিত বার্থ কন্ট্রোল পিল খান বা কপার টি ব্যবহার করেন, তাঁরাও কন্ডোম ইউজ় করুন।