শ্যামলীর বাসায় প্রতিদিন ওর বান্ধবীরা এসে অনেকক্ষণ থাকতো,পড়া শেষ করে আড্ডা দিত বেল্কনিতে বসে ।ওরা প্রতিদিন দেখত একটা সুন্দর ছেলে প্রতিদিন রাস্তা দিয়ে যায় ।ওরা তাকে দেখে অকারনে হাসাহাসি করত ।কিন্তু ছেলেটা শুধু একদিন উপরে তাকিয়েছিল আর কোনদিন তাকায় না।
একদিন সবায় বসে কথা বলছে ভালবাসা নিয়ে ।আর শ্যামলী শুধু বসে শুনছে ।তখন ওর এক বান্ধবি বল্ল-জানিস তোরা মানুষ ইচ্ছে করলেও অনেক কিছু করতে পারেনা ।সবায় বলে- ঠিক কথা। pream pronoy
শ্যামলী বলে –কেন পারবে না ,মানুষ চেষ্টা করলে সব করতে পারে।
তখন ওর অন্য বান্ধবি বলে-আচ্ছা তাহলে তোকে আমরা একটা কাজ বলব পারবি করতে?
শামলি-কি কাজ?
প্রথম বান্ধবি বলে-না থাক ও পারবেনা ,তাই বলে কাজ নেই।
শামলি-বল কি কাজ করতে হবে আমি করব। তখন সবায় এক সাথে বলে আজ তুই একজনকে I love u বলবি আমরা যাকে বলব। শ্যামলীর মুখ দেখে অর এক বান্ধবি বলে –এই তোরা এটা বাদ দে ওকে দিয়ে এই সব হবে না।শ্যামলী ভাবল আজই বলতে হবে আর এত তারাতারি ওরা কাউকে খুঁজে পাবে না ,তাই বলল –বল তোরা কাকে বলতে হবে। bangla love sms
ওরা একে অন্নের দিকে তাকিয়ে বলল একসাথে- নিচের ওই ছেলেটাকে যে প্রতিদিন এদিক দিয়ে যায় ।শ্যামলী বলল- এই তোরা কি বলিস এই সব , সেতো কারো দিকে তাকিয়েও দেখে না ,তাকে কি ভাবে বলব ।তোরা অন্য কারো কথা বল,আমি ওকে কিছু বলতে পারবনা ।ওরা বলে – আমরা জানতাম তোকে দিয়ে হবে না।
শ্যামলী ঠিক আছে আমি বলবো। ওদের বললেও মনে মনে খুব ভয় পাচ্ছে,কি ভাবে কি বলবে বুঝতে পারছে না ।এভাবে রাজিব এর আসার সময় হয়ে গেল। ওর বান্ধবিরা ওকে ধাক্কা দিয়ে গেটের বাইরে বের করে দিল। শ্যামলীর হাতে একটা মোটা বই ভুল করে বই হাতে নিয়ে চলে এসেছে।রাজিব ওর সামনে আসতেই শ্যামলী কাঁপা শুরু করে আর ওর হাত থেকে বই টা পরে যায় । রাজিব দেখে একটা খুব সুন্দর মেয়ে রাস্তার মাঝ খানে দাড়িয়ে আছে ,ও পাশ কেটে চলে যাচ্ছিলো তখন বইটা পরে যায় । তাই ওকে সাহায্য করার জন্য বইটা তুলতে গেল,সাথে শ্যামলীও । দুজনে চোখাচোখি হয়, একটু পর অনুভব করে ওদের হাত একে অন্নের সাথে লেগে আছে।দুজনেই তাড়াতাড়ি হাত সরিয়ে নেয় ।শ্যামলী ওকে শুধু ধন্যবাদ দিয়ে চলে আসে। শ্যামলীকে ওর বান্ধবিরা কত কিছু বলে,সে সব ওর কানে যায় বলে মনে হয়না।যেন কোন ঘোড়ের মদ্ধে আছে । bangla romantic sms
এরপর থেকে শ্যামলী ওপর থেকে আর রাজিব নিচে থেকে দুজন দুজনকে দেখত যাওয়া আসার সময় । এভাবে রাজিব এর পরীক্ষা শেষ হয়ে গেল । আর অনেক দিন হোল রাজিব এদিকে আসেনা । শ্যামলী তো অস্থির হয়ে পরে ।কি করবে ভেবে পায়না । রাজিব এর নাম ছাড়া যোগাযোগ করার জন্য সে কিছু জানেনা । একদিন ওদের বাসায় মেহমান আসে । শ্যামলীর আব্বু ওকে আর ওর আম্মুকে ডেকে বলল- এরা রাজিব এর মা বাবা ।কয়েকদিন আগে আমাকে ফোন করেছিল রাজিব র শ্যামলীর বিয়ের জন্য । আমি ভাল করে খোঁজ খবর নিয়ে আজ ওদের আসতে বলেছি । তারপর রাজিব সম্পর্কে সব বলল । পরে শ্যামলীর কাছে জানতে চায়-বল মা এখন তোমার কি মত আমাদের অনেক পছন্দ হয়েছে ।
শ্যামলী কিছুক্ষণ চুপ থেকে কি বলবে ভাবছে , মনের মধ্যে যেন আনন্দের ঝর বইছে । তারপর বলে – আপনারা যা ভাল বোঝেন করেন আমার কোন আপত্তি নেই। বিয়ে হল দুজনের খুব তাড়াতাড়ি ,বিয়ের আগে কেউ কাওকে দেখতে চাইনি তাই দেখাও হইনি।বিয়ের পর যখন প্রথম দুজনে একা হল তখন একে অন্নের চোখে চোখ রেখে এক সাথে বলল- I Love you